ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

নার্সারির শিক্ষার্থীকে দিয়ে জেএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ২০:০১  
আপডেট :
 ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ২০:০৩

নার্সারির শিক্ষার্থীকে দিয়ে জেএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন

দিনাজপুরের বিরামপুরে এক শিক্ষকের প্রতিবেশির বাড়ি থেকে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের ১০০ খাতা জব্দ করা হয়েছে। জেএসসি পরীক্ষা দেয়া ও নার্সারি পড়ুয়া দুই শিশুকে দিয়ে জেএসসি পরীক্ষার খাতাগুলো মূল্যায়নের অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার আর্দশ হাইস্কুলের সামনে জিয়াউর রহমান নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূর আলম ও যুব উন্নয়ন অফিসার জামিল উদ্দিন পুলিশসহ ওই খাতাগুলো জব্দ করেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুর আলম বলেন, জব্দকৃত খাতাগুলো সিলগালা করে বিরামপুর থানায় পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, বিরামপুর পৌর শহরের আদর্শ স্কুল পাড়ার বাসিন্দা ফুলবাড়ি উপজেলার জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক সাহানুর রহমান সদ্য সমাপ্ত জেএসসি পরীক্ষার ২৫০টি খাতা মূল্যায়নের জন্য দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড থেকে গ্রহণ করেন।

অভিযোগ উঠেছে তিনি নিজে খাতা মূল্যায়ন না করে প্রতিবেশি জিয়াউর রহমানের বাড়িতে ২৫০টি খাতা মূল্যায়নের জন্য দিয়ে যান।

এবিষয়ে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী দিলরুবা বেগম বলেন, শিক্ষক সাহানুর রহমান ২৫০টি খাতার মধ্যে মূল্যায়ন শেষে ১৫০টি খাতা নিয়ে গেছে এবং অবশিষ্ট ১০০টি খাতা গত সোমবার নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

এই খাতা নিয়ে যাওয়ার পর শিক্ষক সাহানুর রহমানের স্ত্রী বিরামপুর আদর্শ হাইস্কুলের শিক্ষিকা শাহনাজ বেগমের খাতাগুলোও দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল বলে জানান তিনি।

দিলরুবা বেগম আরো জানান, তার জেএসসি পরীক্ষা দেয়া পুত্র অনিক ও নার্সারি পড়ুয়া শিশু আবরার ঐসব খাতা মূল্যায়ন করছে।

এদিকে শিশুদের দিয়ে খাতা মূল্যায়নের ফলে সত্যিই মূল্যায়ন হচ্ছে নাকি অবমূল্যায়ন হচ্ছে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে জব্দকৃত খাতা মূল্যায়ন বা ফলাফলে কোনো অসুবিধা হবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, জব্দকৃত খাতাগুলো দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে থানায় জমা রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে বিরামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত