রুম্পার মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে এখনও অন্ধকারেই পুলিশ
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:৪২ আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:৪৬
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুর ঘটনার ৬ দিন পার হলেও এখন কোন কুলকিনারা পায়নি পুলিশ। বলতে গেলে রুম্পার মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে এখনও অন্ধকারেই পুলিশ।
রুম্পার কথিত ‘প্রেমিক’ আবদুর রহমান সৈকতকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদেও মেলেনি গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য।
জটিলে জর্জরিত এই মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার দিন ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে রুম্পা বাসার নিচে জুতা পরিবর্তন করে তার ৮ বছর বয়সী চাচাতো ভাইয়ের কাছে মোবাইল, ঘড়ি, আংটি, ভ্যানিটি ব্যাগ এবং স্বর্ণালঙ্কার দিয়ে তিনি বেরিয়ে যায়। কেনো সে এসব বাসায় রেখে যায়- এ বিষয়টি নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, যার উত্তর মেলেনি এখনও।
তিনি আরও বলেন, রুম্পার লাশ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, তাকে ধর্ষণের পর ওপর থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রতিবেদনে রুম্পাকে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এই প্রতিবেদনের পর মামলা আবার নতুন দিকে মোড় নেয়।
লাশ উদ্ধারের আগের ৪ ঘণ্টা রুম্পা কোথায় ছিলো, এটি নিয়েও দূর হয়নি সংশয়। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছুই জানতে পারেনি তদন্তসংশ্লিষ্টরা। ওই সময়ে কী হয়েছিল, সেটি উদঘাটন করা না গেলে রুম্পার মৃত্যুর রহস্যভেদ করা সম্ভব নয়। এই সময়ের হিসাব মেলানোর মতো কোনো ক্ল্যু এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ফলে এখনো অন্ধকারেই পুলিশ।
তদন্তসংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, ঘটনার দিন সকাল থেকে রুম্পা কী কী কাজ করেছিলো, কোথায় কোথায় গিয়েছিলো- এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেদিন রুম্পার সঙ্গে সৈকতের দেখা হয়েছিল। প্রেমের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে সৈকতের সঙ্গে রুম্পা কথাও বলেছিল। বিকাল ৪টায় সৈকতের সঙ্গে তার দেখা হয় সিদ্ধেশ্বরী এলাকায়।
ওই সময় তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। তারপর আড়াই ঘণ্টা রুম্পা কোথায় ছিলো, কী করেছিলো- এ বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেলেও ওই দিন সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রুম্পার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ডিবির রমনা অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শামসুল আরেফিন বলেন, রুম্পার মৃত্যুরহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের ৬৪/৪ বাসার সামনে অজ্ঞাত ২০-২২ বছর বয়সী এক নারী উপুড় অবস্থায় পড়ে ছিলো। তখন স্থানীয় লোকজন মৃতদেহটি ওড়না দিয়ে ঢেকে রাখে পুলিশকে খবর দেয়।
রুম্পার স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। মালিবাগের শান্তিবাগে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকতো ভাড়া বাসায়। তার বাবা রোকনউদ্দিন হবিগঞ্জ জেলার একটি ফাঁড়িতে পুলিশ পরিদর্শক পদে কর্মরত। চাকরির সুবাদে রোকনউদ্দিন হবিগঞ্জেই থাকেন।
আরএ