ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

শিক্ষার্থীকে ভুল ইনজেকশন পুশের ঘটনায় মামলা

  গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ মে ২০১৯, ১৩:৪৭

শিক্ষার্থীকে ভুল ইনজেকশন পুশের ঘটনায় মামলা

গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মরিয়ম সুলতানা মুন্নিকে ভুল ইনজেকশন পুশ করার দায়ে ডাঃ তপন কুমার মন্ডলসহ তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার রাতে ওই ছাত্রীর চাচা জাকির হোসেন বিশ্বাস বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এদিকে, জীবন-মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা জ্ঞানহীন ওই ছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। হাসপাতালে অনাকাক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, শিক্ষার্থী মরিয়ম সুলতানা মুন্নিকে ভুল ইনজেকশন পুশ করার দায়ে বুধবার রাতে ওই ছাত্রীর চাচা জাকির হোসেন বিশ্বাস বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডাঃ তপন কুমার মন্ডল, নার্স শাহানাজ ও কুহেলিকাকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। আমাদের পক্ষ থেকে ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বাংলাদেশ জার্নালকে বলেছেন, এ ব্যাপারে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী শনিবার কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, পিত্তথলির পাথরজনিত কারণে মুন্নিকে ডাক্তার তপন কুমার মন্ডলের কাছে দেখানো হয়। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ওই শিক্ষার্থীর অপারেশন করার দিন ছিল। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালের নার্স ওই ছাত্রীকে গ্যাসের ইনজেকশনের পরিবর্তে ভুল করে অজ্ঞান করার ইনজেকশন দিয়ে দেয়।

এসময় ওই শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে খুলনার আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে বুধবার রাতে উন্নত চিকিসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিপিবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত