ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ত্রিশালের সবজি যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে

  ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ জুন ২০১৯, ১০:৫৮

ত্রিশালের সবজি যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ও সাখুয়া ইউনিয়নের ৮০ ভাগ কৃষক সারা বছরই উৎপাদন করছেন কচু, লতা, আলু, বেগুন, সিম, শশা, কুমড়া, করলা, ঢেঁরস, ডাটাসহ বিভিন্ন জাতের সবজি।

এসব সবজি যাচ্ছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বিভিন্ন প্রজাতির ১২ মাসিক সবজি ব্যাপকভাবে উৎপাদন হওয়ার ফলে রামপুর ও সাখুয়া গ্রামের নাম এ অঞ্চলের মানুষের কাছে এখন সবজির গ্রাম হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ওইসব এলাকার প্রায় ৬শ হেক্টর জমিতে গ্রামের ৮০ ভাগ কৃষক বছর জুড়ে কচু, লতা, আলু, বেগুন, সিম, শশা, কুমড়া, করলা, ঢেঁরসসহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজি উৎপাদন করে থাকে। আর এসব উৎপাদিত সবজি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি করা হয়।

শাকসবজি উৎপাদনে উপযোগী মাটি হওয়ায় সবজি চাষে অল্প ব্যয়ে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন এ অঞ্চলের চাষিরা। ছেলেমেয়ের পড়াশুনাসহ পরিবারের যাবতীয় ব্যয় আসছে সবজি বিক্রির অর্থ থেকে। সবজি চাষে অনেক পরিবারের সচ্ছলতা দেখে এ অঞ্চলের বেকার যুবকরা তাদের কর্মসংস্থান হিসেবে সবজি চাষ বেছে নিয়েছে।

সরেজমিনে সবজির গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ঘুরির মধ্যে ঝুলছে সবুজ সবুজ শশা, কুমড়া, করলা আর কচু ক্ষেতগুলো ছেঁয়ে গেছে লতায়। পাইকারি ও খুচরা বিক্রির জন্য সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্ষেতগুলো থেকে তাজা তাজা সবজি ও লতা তুলে স্তুপ করা হচ্ছে।

প্রতিদিন ট্রাক বোঝাই করে হাজার হাজার কুমড়া, টনকে টন শশা, করলা, লতা যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। ব্যাপকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির শাকসবজি উৎপাদন হওয়ার ফলে গ্রামের ওইসব এলাকা ত্রিশালের মানুষের কাছে এখন সবজির গ্রাম হিসেবেই পরিচিত লাভ করেছে।

সাখুয়া উত্তরপাড়া গ্রামের কৃষক আবদুল গনি বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, ৮ কাঠা জমিতে কচুর আবাদ করে লতার বেশ ভাল ফলন পেয়েছি। ২/৩ মাস লতা বিক্রির পর কচু বিক্রি করা যাবে। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকারও বেশি লাভ হবে বলে আশা করছি।

বেকার থেকে কর্মসংস্থান হিসেবে সবজি চাষ বেছে নেয়া রামপুরের যুবক লিটন মিয়া বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, ২০/২৫ হাজার টাকা খরচ করে ৪ কাঠা জমিতে শশার আবাদ করেছি। যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে তাহলে এই মৌসুমে খরচের দ্বিগুণ লাভ হবে।

একই গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, সারা বছর করলা, শশা, বেগুনসহ বিভিন্ন শাক-সবজির চাষ করে সংসার ও তিন ছেলের লেখাপড়ার খরচ খুব ভাল ভাবেই মিটে যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শোয়েব আহমেদ বাংলাদেশ জার্নালকে জনান, শাকসবজি উৎপাদনে উপযোগী মাটি বলেই ওই এলাকাগুলোতে ভাল ফলন হয়। চাষীরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিপিবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত