ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করলেন মেজর মান্নান

  কমলনগর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০১৯, ১৬:৩৫

নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করলেন মেজর মান্নান

লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার মেঘনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিকল্পধারার মহাসচিব ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) আবুদল মান্নান।

শুক্রবার সকালে উপজেলার মতিরহাট থেকে বিবিরহাট পর্যন্ত নদী পাড়ের ভাঙন পরিদর্শন করেন একং ভাঙনকবলিত বিভিন্ন গ্রামের মানুষের খোঁজ-খবর নেন। নদী ভাঙনের শিকার মানুষদের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও আদেশ দেন।

তিনি বলেন, রামগতি- কমলনগর উপজেলার এক ইঞ্চি জমিও আর নদীতে ভাঙতে দেওয়া হবে না। ভাঙন প্রতিরোধে ৩২ কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হবে। যেখানেই ভাঙন, সেখানেই বাঁধ হবে। এছাড়াও আগামী নভেম্বর থেকে বাঁধের নির্মাণকাজ শুরু হবে। ৪/৫টি পয়েন্টে সেনাবাহিনী দিয়ে ভাঙন রোধে কাজ করা হবে।

মেজর মান্নান বলেন, সরকার ভাঙন প্রতিরোধে আন্তরিক। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশও নদী শাসন করতে সক্ষম। ভাঙন থেকে রক্ষায় সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেবে। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় এখন মেঘনার বিভিন্ন অংশে ভাঙন শুরু হয়েছে। সাময়িকভাবে ভাঙন ঠেকাতে কাজ চলছে। ভাঙনকবলিত স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। বর্ষা শেষেই চূড়ান্তভাবে নদীশাসনের কাজ শুরু হবে। তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ হবে। ভাঙন থেকে দুই উপজেলা রক্ষা পাবে। সে লক্ষে কাজ করা হচ্ছে।

এসময় তার সঙ্গে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ইমতিয়াজ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগর, চেয়ারম্যান এড.নুরুল আমিন রাজু, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুসা, কমলনগর-রামগতি বাচাঁও মঞ্চের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান ছাড়াও উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বছর জুড়েই মেঘনার ভাঙনের কবলে থাকে রামগতি ও কমলনগর উপজেলা। তবে বর্ষা মৌসুমে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নেয়। গত কয়েক বছরের ভাঙনে হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। বিলীন হয়ে গেছে ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র। বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে কমলনগর উপজেলা কমপ্লেক্সসহ বহু সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত