ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিক্ষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২০, ১৪:২৯

শিক্ষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা

শিক্ষকদের ভোগান্তি কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমপিওভুক্ত হতে শিক্ষকদের হয়রানি করলে প্রতিষ্ঠান প্রধান সভাপতি বা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রেখে এমপিও নীতিমালা সংশোধনী চূড়ান্তকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন- প্রাথমিকে বড় সুখবর দিলেন অতিরিক্ত সচিব​

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনী চূড়ান্তকরণের সাম্প্রতিক সভাগুলোতে এমপিওভুক্তিতে শিক্ষকদের হয়রানি করলে প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান প্রধান, সভাপতি বা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে সবাই মত দিয়েছেন।

আরো পড়ুন- বেতন স্কেল উন্নীত হলে যা পাবেন না প্রাথমিক শিক্ষকরা​

এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষকদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক সময় প্রতিষ্ঠান প্রধান বা সভাপতিরা এমপিওভুক্তির আবেদনের অনুমোদন দেয়ার জন্য ঘুষ দাবি করেন, রেজুলেশনে সই করা ও সভা আহ্বান করতেও টাকা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ের কোনও কোনও জেলা-উপজেলা শিক্ষা অফিস বা আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয় এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছেও শিক্ষকরা হয়রানির শিকার হন। এ জটিলতা নিরসন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন- ৩ পরিকল্পনাতে খুলছে স্কুল!

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অযোক্তিক কারণে হয়রানি করা হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান সভাপতি বা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী যেই জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এভাবেই এমপিও নীতিমালা সংশোধনী চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন- প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বেতন পাবেন উচ্চধাপেই​

জানা গেছে, যদি কোনো অযৌক্তিক কারণে কোন সভাপতি শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুপারিশ না করেন তবে তার পদ বাতিল করে দেয়া হবে। এমনকি শিক্ষকদের হয়রানি করা হলে কমিটিও বাতিল করে দেয়া হতে পারে। আর কোন প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ উঠলে তার এমপিও বন্ধ করে দেয়া হবে। আর মাঠ পর্যায়ের যেকোন কর্মকর্তা যদি কোন অযৌক্তিক কারণে শিক্ষকদের এমপিও আবেদন বাতিল করে দেন এবং পরবর্তীতে তার প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো পড়ুন- ৩ বিকল্প উপায়ে ডিসেম্বরেই বার্ষিক পরীক্ষা!

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, কোনো প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদ যদি শূন্য থাকে বা কমিটি বাতিল করে দেয়া হয় তাহলে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা যেমন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকরা শিক্ষকদের বেতন ভাতার বিলে স্বাক্ষর করবেন। আর তিন মাসের বেশি কোন শিক্ষকের এমপিও স্থগিত রাখা যাবে না। তিনি সাময়িক বরখাস্ত হলে তা তিন মাসের মধ্যেই আপেল আর্বিট্রেশন কমিটি মাধ্যমে ফয়সালা করে ফেলতে হবে।

আরো পড়ুন- প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন উচ্চধাপে ফিক্সেশনের আদেশ জারি​

জানা গেছে, ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভাগুলোতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ এমপিও নীতিমালা সংশোধন কমিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। সভাগুলোতে এমপিও নীতিমালা সংশোধনের বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং নীতিমালা সংশোধন কমিটির আহ্বায়ক মোমিনুর রশিদ আমিন।

পরবর্তী সভা আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত