ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ০১ জানুয়ারি, ১৯৭০
শিরোনাম

দাবি একটাই, হল-ক্যাম্পাস খুলতে হবে

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২১, ১৩:২৭

দাবি একটাই, হল-ক্যাম্পাস খুলতে হবে
ছবি- নিজস্ব

অবিলম্বে ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের হল ও ক্যাম্পাসে খুলে দেয়ার দাবিতে সমাবেশ করেছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার বেলা ১১টায় নীলক্ষেত মোড়ে সমাবেশ করেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, হল-ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও পরিক্ষার ফরম ফিলআপ চলমান রয়েছে। ফরম ফিলআপের কাজ একদিনে সম্পূর্ণ হওয়ার কথা থাকলেও তিন-চারদিন ভুগতে হচ্ছে। ফলে গ্রাম থেকে আসা শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়ার সমস্যাসহ ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।

সমাবেশে থেকে তারা জাতীয় বিশ্বদ্যালয়সহ সকল পাবলিক বিশ্বদ্যালয়ের হল-ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার দাবি জানান।

এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি চলমান পরীক্ষাগুলো নেয়ার দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বৈঠকে চলমান পরীক্ষাগুলো নেয়ার সিদ্বান্ত হয়।

সমাবেশে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল বলেন, আমাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে চলমান পরিক্ষা নেয়া হলেও হল-ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার কোনো রূপরেখা আমরা পাইনি। তারই প্রেক্ষিতে আমরা আজ এখানে হল-ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার দাবিতে দাঁড়িয়েছি। আমাদের এই আন্দোলন হল-ক্যাম্পাস খু্লে দেয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।

‘হল-ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও ফরম ফিলআপ চলমান রয়েছে। একদিনে কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা থাকলেও তিন-চারদিন ভুগতে হচ্ছে। সার্ভারে সমস্যাসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যার ফলে গ্রাম থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সমস্যা মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তাদের থাকার জায়গা নেই, খাওয়ার ব্যাবস্থা নেই, কিন্তুু হল বন্ধ।’

তিনি বলেন, পার্ক খোলা, সিনেমা হল খোলা, মার্কেট খোলা। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করার জন্য হল খোলা দরকার, সেখানেই আমাদের সরকারের সমস্যা, আমাদের প্রসাশনের সমস্যা। অনেকে বলছে আমরা যতই আন্দোলন করি না কেনো, হল-ক্যাম্পাস নাকি খুলে দেয়া হবে না। বঙ্গবন্ধু তার ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলে, একজনও যদি ন্যায্য কথা বলে তারা সে দাবি মেনে নেবেন। আমরা বিশ্বাস করি সেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেবেন। এই সমাবেশ থেকে আমাদের একটাই দাবি, হল-ক্যাম্পাস খুলে দিয়ে শিক্ষার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া চলমান রাখতে হবে।

ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী সাইমা বলেন, আমাদের একটাই দাবি, অবিলম্বে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের হল-ক্যাম্পাস খুলে দিতে হবে। আমরা দেখেছি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা এসেছে ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খু্লে দেয়া হবে। এদের যদি বয়স চলে যাওয়ার সমস্যা থাকে, তাহলে স্নাতক কলেজ-বিশ্বদ্যালয় শিক্ষার্থীরা কী দোষ করলো? এদের বয়স কি থেমে আছে?

করোনা মহামারী মোকাবেলা করতে গিয়ে পুরো এক বছর আমাদের ক্যাম্পাস বন্ধ। এই সময়টাই কর্তৃপক্ষ কোনো বিকল্প ব্যাবস্থা ভাবেনি। আমরা দেখলাম অনলাইন ক্লাস নিয়েছে। সেখানে ২০-৩০% এর বেশি শিক্ষকার্থী অংশগ্রহণ করতে পারেনি। তারা বলছে, ক্যাম্পাস খুলবে মে মাসের ভ্যাকসিন দেয়ার পর। ভ্যাকসিন দেয়ার কথাটা হচ্ছে একটা ভুল কথা। কারণ তাদের কাছে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই। এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন এসেছে ৯৩ লাখ তাও প্রথম ডোজ। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেয়ার মতো পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন তাদের নাই। আর তাই আমরা চাই, মার্চের মধ্যে হল-ক্যাম্পাস খুলে দেবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত