ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩২ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিসিডিএস’র ২৫ বছর পূর্তি

বিতর্ককে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির দাবি

  বাঙলা কলেজ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১৬:১৬  
আপডেট :
 ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১৬:২১

বিতর্ককে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির দাবি
সংগৃহীত ছবি

বাঙলা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি (বিসিডিএস) এর ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিতর্ককে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়। শনিবার (২৪ এপ্রিল) এ পূর্তি উপলক্ষে ভার্চুয়ালি আঞ্চলিক রম্য বিতর্ক এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ প্রতিযোগিতায় দেশের সাতটি জেলা থেকে সাতজন বিতার্কিক অংশগ্রহণ করেন।

আলোচনা সভায় বিতর্ককে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে বিসিডিএস সভাপতি জাফর ইকবাল বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে যুক্তি নির্ভর সমাজ বিনির্মাণে এবং সৃজনশীল মানুষ গড়ে তুলতে সর্বদাই সোচ্চার ছিলো বিসিডিএস। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬-৯৭ সালে বিতর্ককে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে র‌্যালি এবং মানববন্ধন করেছিলো ‘বাঙলা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি (বিসিডিএস)’। যুক্তিনির্ভর সমাজ বিনির্মাণে বিতর্ক চর্চার কোন বিকল্প নেই।

বিসিডিএস’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনিরুজ্জামান শামীম বলেন, বিতর্ককে পাঠ্যপুস্তকে পড়ানোর জন্য বইয়ের সমস্যা সমাধানে আমি ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির জন্য বিতর্কের ‘অ, আ’ নামে একটি বই লিখেছি, যেটি এখনো নারায়ণগঞ্জ আইডিয়াল স্কুলে পড়ানো হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (SEDP) এর প্রোগ্রাম অফিসার তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, আমি বিসিডিএস’র দাবির প্রেক্ষিতে কথা দিয়ে যাচ্ছি, বিতর্ককে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে কথা বলবো। সেটি না পারলেও, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘রিডিং হ্যাবিট’ প্রোগ্রামে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় উৎসাহী করতে ব্যয় হবে। এই প্রোগ্রামের আওতায় জুনিয়র সেকেন্ডারি, সেকেন্ডারি এবং হায়ার সেকেন্ডারি পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতর্কের বই সরবরাহ করার ব্যবস্থা করব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আজকের এই আয়োজনের মধ্যদিয়ে আমাদের এই ছোট্ট দেশের ভাষা যে কতটা বৈচিত্র্যময় সে সম্পর্কে জানতে পারলাম। আমি বিসিডিএসকে পরবর্তীতে বাকি জেলাগুলো নিয়েও এই ধরনের বিতর্ক আয়োজনের কথা বলব। যেকোনো প্রয়োজনে আমরা পাশে আছি। আমি মনে করি বাংলা ভাষার ঐতিহ্য রক্ষায় এই ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাঙলা কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফেরদৌসী খান বলেন, আমি আমার শিক্ষার্থীদের কো-কারিকুলাম এক্টিভিটির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি। জয় পরাজয় বড় কথা নয় বরং আমি শিক্ষার্থীদেরকে বলব, এই ধরনের প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করে মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠতে হবে। তোমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার সোনার মানুষ হতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিসিডিএস’র পরিচালক প্রফেসর সায়মা ফিরোজ, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম মাহবুব হোসেন, বিসিডিএস’র উপ-পরিচালক শাহনাজ কাউসার পপি ও বিসিডিএস’র উপ-পরিচালক হোমায়রা মোর্শেদা আক্তার।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত