ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

কবরীর সিনেমার নায়ক রিয়াদ

  বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:০৪

কবরীর সিনেমার নায়ক রিয়াদ

১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর থেকে দেশীয় চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদানের প্রথা চালু হয়। এরপর থেকে প্রতিবছরই সরকারি অনুদানে সিনেমা নির্মিত হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অনুদান পায় আটটি চলচ্চিত্র। এরমধ্যে ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবিটি পরিচালনা করতে যাচ্ছেন ঢাকাই সিনেমার মিষ্টি মেয়ে কবরী।

২০০৮-০৯ সালের দিকে ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন কবরী। ২০১৫ সালে ঘোষণা দেন সেই ছবিটি নির্মাণের। দুই দুইবার সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করে ব্যর্থ হলেও অবশেষে তৃতীয়বারের আবেদনে চলতি বছরে সাড়া পান তিনি। ৫০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন তিনি ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবির জন্য।

আসছে ডিসেম্বরেই শুটিং শুরু হবে ছবিটির। সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। দুই প্রজন্মের দুটি জুটির রোমান্স, মানসিকতা ফুটে উঠবে এই ছবির গল্পে।

সিনেমাটির জন্য নায়ক হিসেবে একজন নতুন মুখ খুঁজছিলেন দেশবরেণ্য এই অভিনেত্রী। অবশেষে তিনি খুঁজে পেলেন নায়ক। কবরীর সিনেমার নায়ক হতে যাচ্ছেন রিয়াদ রায়হান। যিনি ২০১৪ সালে চ্যানেল আই আয়োজিত রিয়্যালিটি শো ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ হয়েছিলেন।

কবরী বলেন ‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার জন্য একজন তরুণ মুখ দরকার ছিল। যাকে আমি খুঁজছিলাম। রিয়াদের মধ্যে আমি সম্ভাবনা দেখেছি। আমার বিশ্বাস চেষ্টা করলে সে পারবে। রিয়াদ ছাড়া শুটিংয়ের আগে অন্যশিল্পীদের নাম পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে।

রিয়াদ বলেন, মাস তিনেক আগে কবরী ম্যাডামের সঙ্গে এ সিনেমা নিয়ে আলাপ হয়। সিনেমার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজনের মাধ্যমে ম্যাডামের সঙ্গে পরিচিয় ঘটে।

তিনি আরও বলেন, এই তুমি সেই তুমি রোমান্টিক সিনেমা। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার প্রেক্ষাপট এবং বর্তমান সময়ের গল্প দেখানো হবে। তিনি বলেন: চ্যানেল আইয়ের প্লাটফর্ম থেকে বেরিয়ে কয়েক বছরে ৪০টির মতো নাটকে কাজ করেছি। তবে আমি চেয়েছি সিনেমায় কাজ করতে। প্রথম সিনেমার কবরী ম্যাডামের নির্দেশনা পাবো ভাবতেও পারিনি। উনি আমার উপর যে আস্থা রেখেছেন সেটার যথাযথ মূল্য দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

জানা যায়, ছবিতে সোহেল রানা অভিনয় করবেন, থাকবেন কবরী নিজেও।

উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় 'সুতরাং' ছবির নায়িকা হিসেবে অভিনয় জীবনের শুরু। এরপর অভিনয় করেছেন হীরামন, ময়নামতি, চোরাবালি, পারুলের সংসার, বিনিময়, সুজন সখী, সারেং বউ, দিন যায় কথা থাকে, আগন্তুকসহ অসংখ্য কালজয়ী চলচ্চিত্রে।

২০০৫ সালে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও হাজির হন। নির্মাণ করেন ‘আয়না’ নামের সিনেমা। ওই ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তিনি অভিনয়ও করেছিলেন। এরপর রাজনীতিতে ঢুকে পড়ায় ছবি পরিচালনা তো দূরে থাক, অভিনয়েই তিনি অনিয়মিত হয়ে পড়েন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত