ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভারতে বন্ধ ১২ হাজারের বেশি এনজিও’র বিদেশি অর্থায়ন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:৩২  
আপডেট :
 ০১ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:০৭

ভারতে বন্ধ ১২ হাজারের বেশি এনজিও’র বিদেশি অর্থায়ন
ভারতে অনেক এনজিও শিশুদের লেখাপড়ায় আর্থিক সহায়তা দেয়। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে ১২ হাজারের বেশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) বিদেশি অর্থায়ন বন্ধ করা হয়েছে। শনিবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ওই এনজিওগুলো যে লাইসেন্সের ভিত্তিতে বিদেশি অর্থ সহায়তা পেতো, সেই লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি।

ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশি অর্থায়ন পাওয়ার লাইসেন্স বাতিল হওয়া এনজিওগুলোর মধ্যে অক্সফাম ইন্ডিয়া ট্রাস্ট, জামিয়া মালিয়া ইসলামিয়া, দ্য ইন্ডিয়ান মেডিকেল এসোসিয়েশন, লিপ্রোসি মিশনও রয়েছে।

এর আগে মাদার তেরেসার দাতব্য সংস্থা মিশনারিজ অব চ্যারিটির লাইসেন্স নবায়নের সুযোগ দেয়া হয়নি। এতে সংস্থাটির বিদেশি অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেছে।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যে এনজিওগুলোর বিদেশি অর্থায়ন বন্ধ করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ৬ হাজারের বেশি এনজিও লাইসেন্স নবায়নের আবেদনই জানায়নি। শুক্রবার পর্যন্ত এ আবেদনের শেষ দিন ছিল।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এনডিটিভিকে জানান, ডেডলাইনের (শুক্রবার) আগে আবেদন করার জন্য তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেকেই সেটা করেননি। তাদের প্রশ্ন, ‘তাহলে অনুমতি দেয়া হবে কীভাবে?’

বিদেশি অর্থ সহায়তা পাওয়ার লাইসেন্স বাতিল হওয়া এনজিওগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে টিউবারকিউলসিস এসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া, ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর আর্টস ও ইন্ডিয়া ইসলামিক কালচারাল সেন্টার।

এ সংস্থাগুলোর মধ্যে টিউবারকিউলসিস এসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া যক্ষ্মা প্রতিরোধ ও নিরাময়ে ভারতব্যাপী কাজ করে থাকে।

সুপরিচিত এনজিও অক্সফাম ইন্ডিয়ার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এর বিদেশি অর্থায়ন বন্ধ হয়েছে। তবে অনেক এনজিও’র রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে গেছে।

তবে বিদেশি অর্থায়ন পাচ্ছে- ভারতে সক্রিয় এমন এনজিও’র সংখ্যাও নিতান্ত কম নয়। বর্তমানে ভারতে ১৬ হাজার ৮২৯টি এনজিও রয়েছে, যাদের লাইসেন্স বাতিল হয়নি।

শুক্রবার এ এনজিওগুলোর লাইসেন্স নবায়ন করে বিদেশি অর্থ পাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত তারা এ লাইসেন্সের আওতায় বিদেশী অর্থ সহায়তা গ্রহণ করতে পারবেন।

সম্প্রতি মাদার তেরেসার দাতব্য সংস্থা মিশনারিজ অব চ্যারিটির বিদেশি অর্থ পাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সংস্থাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, হোম পরিচালনা করে এটি তরুণীদের ধর্মান্তরের চেষ্টা চালাচ্ছে।

এ নিয়ে ভারতের গুজরাট রাজ্যে পুলিশের কাছে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব এনজিও’র বিদেশি অর্থায়ন বাতিল হয়েছে, তারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার কোনো আবেদনও জানায়নি।

তবে মাদার তেরেসার দাতব্য সংস্থাটির বিদেশি অর্থায়ন বন্ধে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/ টিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত