জোরে কথা বলায় চাকরি থেকে বরখাস্ত! কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:২১ আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:২৩
আপনার সামনে কেউ খুব জোরে কথা বললে বিরক্ত লাগে নিশ্চয়ই। কিন্তু জোরে কথা বলার জন্য কাউকে ১ কোটি টাকা পেতে দেখেছেন? অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই ঘটনা কিন্তু সত্যিই ঘটেছে।
ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার-এর এক শিক্ষিকাকে ১ লাখ ইউরো (বাংলাদেশের মুদ্রায় যা ১ কোটি টাকার বেশি) ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।
‘খুব জোরে’ কথা বলার কারণে ওই শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এ বিষয়ে অভিযোগ করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ লাখ ইউরো দেয়া হয়েছে তাকে।
অ্যানেট প্লাউট ২৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার-এর পদার্থবিদ্যা বিভাগে পড়াচ্ছিলেন। কিন্তু তার ‘উচ্চগ্রামে’র কণ্ঠস্বরের জন্য তাকে হঠাৎই বরখাস্ত করা হয়।
তবে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তি দিয়েছিল যে, গবেষণা-স্তরের দু’জন ছাত্রের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার জন্যই তাকে বরখাস্ত করা হয়। ৫৯ বছর বয়সি অ্যানেট বলেন, তিনি মধ্য-ইউরোপীয় ইহুদি হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই তার ‘উঁচু’ কণ্ঠস্বর। আর এই কারণেই তাকে বরখাস্ত করা হয় বলে তিনি দাবি করেন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, তাকে বরখাস্ত করার সঙ্গে তার জাতি, যোগ্যতা বা লিঙ্গের কোনও সম্পর্ক ছিল না।
বিতর্কিত এই বরখাস্তের পর অ্যানেট বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অসচেতন এবং পক্ষপাতদুষ্ট বলে বর্ণনা করেন। তিনি জানান, তিনি যখন নিউইয়র্ক এবং জার্মানিতে থাকতেন এবং কাজ করতেন, তখন তার উচ্চগ্রামের স্বরে কারও কোনও সমস্যা ছিল না।
এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। অ্যানেটের পক্ষেই রায় দেন বিচারকরা। পুনর্নিয়োগের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় যাতে অ্যানেটকে ১ লাখ ইউরো ক্ষতিপূরণ দেয়, তারও নির্দেশ দেয় আদালত। সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।
বাংলাদেশ জার্নাল/ টিটি