ঢাকা, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

তিমির পেটে ৪০ কেজি প্লাস্টিক

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০১৯, ০৯:৩৫  
আপডেট :
 ১৯ মার্চ ২০১৯, ১১:৪৪

তিমির পেটে ৪০ কেজি প্লাস্টিক

ফিলিপিন্সের সমুদ্রতটে একটি মৃত তিমি মাছ ভেসে এসেছে যেটির পাকস্থলীতে ৪০ কেজি পরিমাণ (প্রায় ৮৮ পাউন্ড) প্লাস্টিকের ব্যাগ পাওয়া গেছে। ডি'বোন কালেক্টর মিউজিয়ামের কর্মচারীরা মার্চের শুরুতে তিমি মাছটিকে উদ্ধার করে দাভাও সিটি'র পূর্বাঞ্চল থেকে।

মিউজিয়ামটি এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছে যে, 'একটি তিমির ভেতরে এত বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক' তারা আগে কখনো দেখেনি। তিমিটির পাকস্থলীতে ১৬টি চালের বস্তা এবং বিপুল পরিমাণ 'শপিং ব্যাগ' ছিল বলে উল্লেখ করে তারা।

সামুদ্রিক প্রাণী কেন প্লাস্টিক খায়?

তিমিটির পাকস্থলীতে কী কী জিনিস পাওয়া গেছে তার বিস্তারিত তালিকা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে প্রকাশ করবে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। ফিলিপিন্সসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ থেকেই সমুদ্রে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য নিক্ষেপ করা হয়।

পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে প্রচারণা চালানো প্রতিষ্ঠান ওশ্যান কনসার্ভেন্সি ও ম্যাককিনসে সেন্টার ফর বিজনেস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ২০১৫ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী পাঁচটি এশিয়ান দেশ - চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড - প্রতি বছর সমুদ্রে যে পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা হয় তার ৬০ শতাংশে'র জন্য দায়ী।

গত বছরে থাইল্যান্ডে একটি তিমির মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল যেটি ৮০ কেজি পরিমাণ প্লাস্টিক ব্যাগ গিলে ফেলায় মারা যায়। এরপর নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ায় একটি তিমি মাছের পাকস্থলীতে ১১৫টি কাপ, ৪টি প্লাস্টিকের বোতল, ২৫টি প্লাস্টিকের ব্যাগ এবং দুই জোড়া প্লাস্টিকের চপ্পল পাওয়া যায়।

বিশ্ব জুড়েই সমুদ্রে প্লাস্টিকের আবর্জনা বাড়ছে। ২০১৫ সালের এক সমীক্ষা অনুযায়ী বছরে সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে প্রায় আশি লাখ মেট্রিক টন প্লাস্টিক।

ঐ বছরই যুক্তরাজ্য সরকারের এক গবেষণায় উঠে আসে যে আগামী দশকের মধ্যে সমুদ্রে প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ তিনগুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিপিবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত