ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

হিজাব-গোলাপে নজর কেড়েছেন যে নারী পুলিশ

হিজাব-গোলাপে নজর কেড়েছেন যে নারী পুলিশ

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর ত্বরিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। তার হিজাব পরা ছবিটি এখনও সংবাদ মাধ্যম ও নানা সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি বিভিন্ন বক্তব্যে এই বার্তাই দিয়ে চলেছেন যে, তার দেশের সংখ্যালঘুরা অনিরাপদ নয়। নিউজিল্যান্ডের সংখ্যিাগুরু জনগোষ্ঠীর মত তারাও ন্যায়সঙ্গত সকল অধিকার ভোগ করতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী আরডার্নের পর এবার পুরো বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন নিউজিল্যান্ডের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা ।

বৃহস্পতিবার ক্রাইস্টাচার্চ মেমোরিয়াল পার্ক কবরস্থানের বাইরে শক্ত চেহারায় রাইফেল হাতে পাহারায় থাকতে দেখা যায় মাইকেল ইভান নামের ওই নারী পুলিশকে। মাথায় হিজাব, বুকে গোলাপ আর হাতে একটি আধা-স্বয়ংক্রিয় বুশমাস্টার রাইফেল। ছবিতে এমনটাই দেখা গেছে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে। আর এই তিনের মিশেলে তার চেহারায় গম্ভীরতা, দৃঢ়তা, সম্মান ও সুরক্ষার চিত্র ফুটে উঠেছে।

মসজিদে জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবদনের জন্য ওইদিন অনেকেই ক্রাইস্টাচার্চ মেমোরিয়াল পার্ক কবরস্থানে আসেন। এ সময় কবরস্থানের গেটে প্রহরারত পুলিশ কর্মকর্তা ইভানের ছবিটি তোলেন আলোকচিত্রী অ্যাল্ডেন উইলিয়ামস।

উইলিয়ামস বলেন, ‘ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার চোখে-মুখে গম্ভীরতা, সম্মান দৃঢ়তা ও সুরক্ষা এই তিনটির মিশ্রণ ফুটে উঠেছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে পুলিশদের ছবি তুলছি। কিন্তু হিজাব, রাইফেল আর গোলাপের এতো দারুণ মিশ্রণ আগে কখনো দেখিনি।’

এমনকি তিনি যদি এই তিনটির মধ্যে মাত্র একটিও পরে থাকতেন তারপরও ব্যাপারটা অন্য রকম হতে পারতো বলে উল্লেখ করেন এই আলোকচিত্রী।

ছবিটি তোলার পর স্টাফ ব্লগে প্রকাশ করা হলে তা অতি দ্রুত শেয়ার হতে থাকে। নিজের ইন্সটাগ্রামেও এটি পোস্ট করেন উইলিয়ামস। তিনি জানান, কয়েক ঘন্টার মধ্যে অন্য ছবির চাইতে বেশি লাইক পেতে থাকে এই ছবিটি।

একজন ছবিটি দেখে মন্তব্যে বলেছেন, এই ছবি নিউজিল্যান্ডের সহনশীলতা, সমবেদনা ও মানবতাকে দৃঢ়তার সঙ্গে তুলে ধরেছে। এটি খুব সুন্দর ও শক্তিশালী।

পুলিশ কর্মকর্তা মাইকেল ইভানের জন্ম নিউজিল্যান্ডের ওহানগানুই শহরে, এখানেই তার বেড়ে উঠা। ছোটবেলা থেকেই পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন এই নারী। কেবল মানুষকে সাহায্য করার জন্যই তিনি এই পেশায় আসতে চেয়েছিলেন।

এ নিয়ে ২০১৬ সালে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওহানগানুই ক্রুনিক্যাল’কে তিনি বলেন, ‘আমি বাস্তবতার মধ্যে বড় হয়েছি। আমি শুধু মানুষকে সাহায্য করতে চাই। এটা খুবই মজার যে, আমি বাইরে যাাচ্ছি এবং মানুষকে সাহায্য করে টাকাও পাচ্ছি।’

নিউজিল্যান্ডে সম্প্রতিক মসজিদ হামলার প্রসঙ্গে ইভান বলেন, ঘটনার সময় মানুষ প্রথমে হিংস্র হয়ে ওঠে। পরে তাদেরকে শান্ত করা হয়। তিনি আরো বলেন, তারা জানত আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না পর্যন্ত আমার কোথাও যাব না।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত