ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

আগুনে জ্বলছে ‘পৃথিবীর দ্বিতীয় ফুসফুস’

আগুনে জ্বলছে ‘পৃথিবীর দ্বিতীয় ফুসফুস’

বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিরহরিৎ বনাঞ্চল আমাজনের পাশাপাশি আফ্রিকার ১০ লাখ বর্গমাইলের বেশি বনাঞ্চলও পুড়ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সংস্থাটির উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়েছে আফ্রিকার দক্ষিণ অংশ জুড়ে একই রকম ভয়াল আগুনের ছবি।

আমাজনের পরে এই এলাকাকেই বলা হয় ‘পৃথিবীর দ্বিতীয় ফুসফুস’। কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, গ্যাবন, কঙ্গো, ক্যামেরুন এবং ম্যাডাগাস্কার জুড়ে বিস্তৃত আফ্রিকার এই অরণ্য।

গত সপ্তাহে কঙ্গো ও অ্যাঙ্গোলায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্রাজিলের চেয়েও ভয়াল আগুন দাপট দেখিয়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

চলতি সপ্তাহে আমাজনের আগুন নিয়ে আলোচনায় সরগরম হয়ে ওঠে ফ্রান্সের জি-৭ আন্তর্জাতির সম্মেলন। আমাজনের আগুন নেভাতে ব্রাজিলকে আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাবও দেয় বিশ্বের সাতটি দেশ। কিন্তু সেই সাহায্য গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। সেই সময়েই টুইটারে ব্রাজিলের পাশাপাশি আফ্রিকার জঙ্গলের আগুন নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ।

পরিবেশবিদদের মতে, আমাজনের জঙ্গলের আগুন ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করায় এখন তা সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে। কিন্তু সারা বিশ্বজুড়েই ক্রমাগত জঙ্গলে আগুন লাগানোর মাধ্যমে জমি দখল চলছে। নিরক্ষরেখা অঞ্চলের জঙ্গলেই এই ধরনের আগুনের সংখ্যা বেশি। জঙ্গল ধ্বংস করে সেই অঞ্চল চাষজমি হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। এর পেছনে কাজ করছে বড় বহুজাতিক সংস্থাগুলির মদদ।

কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মী ও দূত টোসি এমপানু বলেছেন, ‘আফ্রিকা আর ব্রাজিলের আগুন একই কারণে তৈরি হয়নি। আমাজনে হয়তো খরা ও জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে বৃষ্টি বনানীর এই অবস্থা। তবে মধ্য আফ্রিকা কিন্তু জ্বলছে মূলত ভ্রান্ত কৃষি পদ্ধতির কারণে।’

কঙ্গো অববাহিকায় কাজ করা পরিবেশবাদী সংগঠনের কর্মী ফিলিপ ভার্বেলাইনও আমাজনে অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে এর তুলনা দিতে নারাজ। তিনি জানান, শুষ্ক মৌসুমে জমি পরিষ্কারের অংশ হিসেবে আফ্রিকার কৃষকরা প্রতিবারই ঝোপেঝাড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এটা আফ্রিকায় নিয়মিতই ঘটে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত