ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

পাকিস্তানে ‘রমজান আইন’

  ফিচার ডেস্ক

প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২০, ১৬:১২

পাকিস্তানে ‘রমজান আইন’
ফাইল ছবি

পাকিস্তানে রমজানের সময় প্রকাশ্যে পানি পান করা, খাওয়া-দাওয়া বা ধূমপান– সবই নিষিদ্ধ৷ এই আইন ভঙ্গ করলে কারাদণ্ড বা বিপুল জরিমানা, এমনকি গুণ্ডাবাহিনীর হাতে নির্যাতিত হওয়াও অসম্ভব নয়৷

ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর কন্যা বখতাওয়ার জরদারি রমজান আইনের নতুন সংস্করণকে ‘হাস্যকর’ বলে অভিহিত করেছেন৷

‘পাকিস্তানের সবাই যে রোজা রাখবে, এমন তো নয় – স্কুলের ছেলেমেয়ে, প্রবীণেরা, যারা রুগ্ন – আমরা কি সকলকে পানি খাওয়ার কারণে গ্রেপ্তার করব?’ টুইট করেছেন ভুট্টো৷ ‘এ আইনের কারণে লোকে সর্দিগর্মি হয়ে কিংবা জলশূন্যতা থেকে প্রাণ হারাবে৷’

রোজা রাখতে বাধ্য

‘ইসলামের বিধান অনুযায়ী যারা রোজা রাখতে বাধ্য, তারা রমজান মাসে রোজা চলাকালীন কোনো প্রকাশ্য স্থানে খাদ্যগ্রহণ, জলপান বা ধূমপান করতে পারবেন না,’ বলছে এহতিরাম-ই-রমাদান বা রমজানের প্রতি শ্রদ্ধা আইন, সামরিক একনায়ক জিয়াউল হক যা ১৯৮১ সালে চালু করেছিলেন৷

অধিকাংশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে রমজানের মাসটি পড়ে চরম গরমে৷ ২০১৫ সালে পাকিস্তানে একটি ভীষণ তাপপ্রবাহে ১,২৫০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান – তাদের মধ্যে অনেকেই রোজা রাখতে গিয়ে জলশূন্যতায় মারা যান৷ তা সত্ত্বেও সরকার ৩৬ বছরের পুরনো আইনটি শিথিল করেনি৷ কিছু মৌলানা অবশ্য বলেছিলেন যে, স্বাস্থ্যের কারণে রোজা ভাঙা চলে৷

কড়াকড়ি

ফজর (উষা) থেকে মাগরিব (গোধূলি) অবধি প্রায় সমস্ত রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকে, দোকানিরা শুধু কিনে নিয়ে যাওয়ার মতো খাবারদাবার বিক্রি করেন৷ এই সময় খিদে বা তেষ্টা পেলে, স্বগৃহ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই৷ সরকারি বা বেসরকারি, কোনো অফিসেই রমজান মাসে খাওয়া-দাওয়া করার অনুমতি নেই৷

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত