ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

২৫ এর আগে বিয়ে করলেই বিপদ

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৩:০৫

২৫ এর আগে বিয়ে করলেই বিপদ

ছেলে-মেয়ে ভেদে বিয়ের বয়স সামাজিকভাবে আলাদা তা আমরা সবাই জানি। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য ছেলেরা একটু বেশি বয়সে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। অন্যদিকে অনেক মেয়েকে পরিবারের চাপে পড়ে উপযুক্ত বয়স হওয়ার আগেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়।

যদিও আজকাল এই প্রথার কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি সমাজে। কিন্তু নারী হোক বা পুরুষ, একজন মানুষের বয়স অন্তত ২৫ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করা উচিত নয়।

২৫ বছর না হওয়া পর্যন্ত কেন বিয়ে নয়? চলুন জেনে নেয়া যাক কারণগুলো -

দায়িত্ব নিতে শেখা

২৫ বছর বয়সের আগে ছাত্রজীবনে প্রায় সকলকেই একটু দায়সারা জীবনযাপন করতে দেখা যায়। তাই বিয়ের কথা ভাবার আগে দায়িত্ব নেয়ার বিষয়টি শিখে নেয়া উচিত।

নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা

আমাদের দেশে ২৫ এর আগে নয় বরং ২৫ এর পরেই একজন মানুষকে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার মত একটি চাকরি পেতে দেখা যায়। পুরুষদের এই সুযোগটি দেয়া হলেও অন্যের স্ত্রী হতে হয় বলে নারীদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর এই সুযোগ বেশ কমই দেয়া হয়। কিন্তু আসলেই প্রতিষ্ঠিত হতে হলে ২৫ এর পরই বিয়ের চিন্তা করা উচিত।

পুরোপুরি ম্যাচিউরড হওয়া

১৮ বছর বয়সে একজন মানুষ পূর্ণবয়স্ক হয়ে থাকেন। কিন্তু নারী বা পুরুষ দুজনেরই নিজের একটি সংসার সামলানোর দায় দায়িত্ব নেয়ার ক্ষমতা ২৫ বছর বয়সের পরই আসে এবং এটি শারীরিক নয় পুরোপুরি মানসিক ব্যাপার।

আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া

শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠিত নয় একজন মানুষের জীবনযাপনের জন্য আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়া আবশ্যক। আমাদের সমাজে শুধুমাত্র পুরুষের এই দিকটি দেখা হয়। কিন্তু একজন নারী হিসেবেও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া উচিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে।

নিজেকে গুছিয়ে নিতে শেখা

বিয়ে কোনো ছেলেখেলা নয়। অনেক বড় একটি দায়িত্ব জড়িয়ে আছে এতে। বাবার বাড়ি, শ্বশুর বাড়ি এবং নিজের সংসার স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই ৩টি সংসার সামাল দিতে হবে। তাই প্রথমে নিজেকে একটু গুছিয়ে নিতে শেখা উচিত। আর এই গুছানো ২৫ বছরের পরেই দেখা যায় সকলের মধ্যে।

পরিবারের মূল্য বোঝা

২৫ বছর বয়সের আগে একজন মানুষের পক্ষে পরিবারের মূল্য কতখানি তা সঠিকভাবে বুঝে ওঠা সম্ভব হয় না । প্রমাণ পেতে আশেপাশেই একটু নজর বুলিয়ে দেখুন। সদ্য গ্র্যাজুয়েট একজন মানুষ নিজেকে বুঝতেই তো সময় পার করে দেন, তিনি পরিবার কি জিনিস তা বুঝবেন কীভাবে?

নিজের ভবিষ্যৎ ঠিক করা

ভবিষ্যতে কী করবেন, কোন লক্ষ্যে গিয়ে পৌঁছুবেন এবং সঠিক পথে হাঁটা শুরু করে তবেই বিয়ের কথা চিন্তা করা উচিত। তা না হলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

নিজের জন্য সঠিক মানুষ খোঁজা

ভালোবেসে কিংবা পারিবারিকভাবে যেভাবেই বিয়ে করুন না কেন সেটি হবে পুরো জীবনের একটি বন্ধন। সুতরাং ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। নিজের জন্য সঠিক মানুষ কোনজন তা বুঝতেও ম্যাচিউরিটির প্রয়োজন রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত