ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন মাজেদের কলকাতার স্ত্রী

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২০, ২০:২০

চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন মাজেদের কলকাতার স্ত্রী

সম্প্রতি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি মাজেদ দীর্ঘদিন ভারতের কলকাতায় আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। আলী আহমদ নাম নিয়ে মাজেদের কলকাতা বাস নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন তার সে দেশের স্ত্রী জরিনা বেগম।

২২ ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর সেই স্ত্রী পার্কস্ট্রিট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওই জিডির তদন্তে নেমে মাজেদের ঘর থেকে একটি হাতব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। ব্যাগে পাসপোর্ট, রেশন কার্ডসহ কিছু কাগজপত্র ছিল।

ব্যাগে এক নারী ও তিনটি শিশুর ছবিও পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা, ওই নারীই সম্ভবত মাজেদের বাংলাদেশের স্ত্রী সালেহা বেগম। মাজেদের কলকাতার স্ত্রী পুলিশকে বলেন, হাতব্যাগটি মাজেদ কাউকে ধরতে দিতেন না। বাড়িতে ঢুকে তিনি ভেতর থেকে গেটে তালা লাগিয়ে দিতেন। কলকাতার পার্কস্ট্রিট এলাকায় তার পরিচিতি ছিল ইংরেজির শিক্ষক আলী আহমদ নামে। এলাকার লোকজন জানতেন, কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে তিনি পাস করেছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিউশনি করতেন। এর বাইরে টাকা ধার দিয়ে সুদের ব্যবসাও ছিল। পার্কস্ট্রিটে ভাড়া বাড়িতে থাকলেও তালতলায় একটি ফ্ল্যাট কেনার জন্য ২৫ লাখ টাকায় বায়না করেছিলেন মাজেদ।

মাজেদের দ্বিতীয় স্ত্রী জরিনা বেগম বলেন, এক আইনজীবীর মাধ্যমে আট-নয় বছর আগে মাজেদের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সৈয়দা আয়েশা সিদ্দিকা হুমায়রা নামে ছয় বছরের একটি মেয়ে আছে তাদের।

জরিনা বলেন, আমার স্বামী বাংলাদেশের এত বড় নেতার খুনি, তা কোনো কালেও জানতে পারিনি। জানলে হয়তো আমাদের বিয়েই হতো না। আমরা জানতাম, তার নাম আহমদ আলী। সেই নামেই বিয়ে হয়েছে।

মাজেদ গ্রেপ্তার হওয়ার খবর জরিনা প্রথম জানতে পারেন তার ছোট বোনের স্বামী নাজিমুদ্দিন মল্লিকের ফেসবুক থেকে। মাজেদের ফাঁসি কার্যকরের ব্যাপারে কলকাতা পুলিশ আপনাকে কিছু জানিয়েছিল কি না, প্রশ্ন করা হলে জরিনা বলেন, পার্কস্ট্রিট থানা মাজেদের ছবি দেখিয়ে আমার কাছে জানতে চেয়েছিল, তিনি আমার স্বামী কি না। আমি স্বীকার করলে পুলিশ আমার কাছ থেকে লিখে নেয় যে মাজেদ আমার স্বামী এবং বাংলাদেশে তারই ফাঁসি হয়েছে।

জরিনা বলেন, এর আগে পুলিশ অনেকবার আমাকে ডেকে নিয়ে মাজেদ সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। আমি তার সম্পর্কে তেমন কিছু জানতাম না। তিনি চুপচাপ স্বভাবের মানুষ ছিলেন, তেমন কথা বলতেন না। কিছু জানতে চাইলে বকাঝকা করতেন। আমি যতটুকু জানতাম, ততটুকুই পুলিশকে বলেছি।

জরিনার বোনের স্বামী নাজিমুদ্দিন মল্লিক বলেন, তাদের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার বাগনান থানার কিমসত বামন গ্রামে। সেই গ্রামের পাশে হাক্কানি আঞ্জুমানের একটি দরবার শরিফ আছে। একসময় সেখানে নিয়মিত যেতেন মাজেদ। ওই দরবারের এক ব্যক্তির মাধ্যমে জরিনার সঙ্গে মাজেদের বিয়ে হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত