ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

জবি ছাত্রীর মোবাইল ফোনটি ৪ হাজারে বিক্রি করে ছিনতাইকারী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২২, ১৭:৩৮  
আপডেট :
 ০৩ আগস্ট ২০২২, ১৭:৪৩

জবি ছাত্রীর মোবাইল ফোনটি ৪ হাজারে বিক্রি করে ছিনতাইকারী

রাজধানীর কারওয়ানবাজারে ছিনতাইকারীকে পিটিয়ে পুলিশে দেয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী পারিশা আকতারের মোবাইল ফোনটি চার হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলো ছিনতাইকারীরা। পুলিশ এক দোকানদারের কাছ থেকে ওই ফোনটি উদ্ধার করেছে।

বুধবার সকালে তেজগাঁও থানায় সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রুবাইয়াত জামান এ সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, গত ২১ জুলাই রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পারিশা আকতারের মোবাইলটি বাস থেকে ছিনিয়ে নেয় রিপন ওরফে আকাশ। তাকে ধাওয়া করলে মুঠোফোনটি আরেক ছিনতাইকারীর কাছে হাতবদল করে পালিয়ে যায় রিপন।

রুবাইয়াত জামান আরও বলেন, রিপন মোবাইলটি ছিনিয়ে দৌড় দেয়; কিন্তু তার পিছু পিছু অন্য এক যুবক দ্রুত হাঁটতে শুরু করে। ওই যুবকের সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে তার সম্পর্কে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং তাকে ২৪ জুলাই কারওয়ান বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা রুবাইয়াত বলেন, ১৭ বছর বয়সী ছেলেটি প্রথমে ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকার করে তারা দুজন মিলে এ কাজটি করেছে।

ইতোমধ্যে ছিনতাইকারী রিপনও গ্রেপ্তার হয়েছে। রুবাইয়াত বলেন, রিপনও প্রথমে ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। তবে ১৭ বছরের ছেলটি আর রিপনকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদের পর সে স্বীকার করে। তার তথ্যমতে কারওয়ানবাজারের একটি দোকান থেকে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। ছিনতাই করা মুঠোফোন কেনার অপরাধে দোকানটির মালিক মো. শফিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছেলেটি ও রিপন বলে, তারা ৪ হাজার টাকায় মুঠোফোনটি বিক্রি করে দেয়। রিপন নেয় ১ হাজার টাকা আর ১৭ বছরের ছেলেটি নেয় ৫০০ টাকা। বাকি টাকায় তারা মদ কিনে খায়।

রুবাইয়াত বলেন, তিনজনকে অভিযুক্ত করে বুধবার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, শুধু ভাইরাল কিংবা গণমাধ্যমে আসলেই যে আমরা কাজ করি, তা নয়। গত মাসে আমরা প্রায় ৪০টি চুরি ছিনতাইয়ের মোবাইল উদ্ধার করেছি।

গবেষণার কাজে গত ২১ জুলাই সকালে রাজধানীর সদরঘাট থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানা গিয়েছিলেন পারিশা। সারা দিন কাজ করে তানজিল পরিবহনের বাসে করে ফেরার সময় কারওয়ানবাজার এলাকা থেকে এক ছিনতাইকারী তার মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়।

ওই ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করে ধরতে পারেননি তিনি। তবে আরেকজনের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময় এক ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলেন। কৌশলে ওই ছিনতাইকারীর এক সহযোগীকেও আটক করা হয়। পরে দুই ছিনতাইকারীকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন ওই শিক্ষার্থী। দীর্ঘ এক বছর মিরপুর চিড়িয়াখানা থেকে বন্য প্রাণী হাতির ওপর গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। মুঠোফোনে ওই সব তথ্য থাকায় প্রতিবেদন তৈরিতে বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়ে তাকে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত