ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

আর বকা দিবে না সাজেদা আপা!

  ফেসবুক থেকে

প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৪৪  
আপডেট :
 ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৫৯

আর বকা দিবে না সাজেদা আপা!
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী । ছবি: সংগৃহীত

যখন শিক্ষানবিশ রিপোর্টার হিসেবে প্রথম সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর বক্তৃতার নোট নেই ,তখন তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। জ্বালাময়ী বক্তৃতার সাথে উত্থিত ডান হাতের কব্জিতে মোটা চেইনের ঘড়ি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। পরে যখন নেত্রী থেকে আপা বলার সুযোগ পেয়েছি , স্নেহ পেয়েছি অবারিত তখন বলেছিও সেকথা ।

ইন্দিরা রোডের বাসায় সেদিন নগরকান্দা থেকে আসা রুই মাছ দিয়ে ভাত খাওয়াতে ডেকেছিলেন। ঘড়ির কথা তুলতেই সাজেদা আপার সলজ্জ হাসিটা এখনও স্পষ্ট মনে পড়ে। আর মনে ভাসে নানা সময় কারণে অকারণে বকুনি খাওয়ার স্মৃতি। রোববার রাত ১২.১৮ মিনিটে সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন ওপারে।

১৯৯৬ সালের ২৩ জুন ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মন্ত্রিসভায় ছিলেন না সাজেদা চৌধুরী। সেই প্রথম একটু নরম পেয়েছিলাম আপাকে। দেড় বছর পর যখন দায়িত্ব পেয়েছিলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রানলেয়র , সংসদ লবিতে দেখা হতেই ধারালো হুমকি “কিরে আপার খবর নেওনা কেন?” জবাব দিলাম আপনিতো মন্ত্রি হয়ে গেছেন তাই। হেসে দিয়ে বললেন মতিরে বলবি আমার ইন্টারভিউ ছাপাতে । তখন আমি মতিউর রহমানের সম্পাদনায় ভোরের কাগজে কাজ করি। পরে সংসদ ভবনে সেই সাক্ষাতকার নেবার মজার গল্পটা পরে কোথাও লিখবো।

সাজেদা আপাকে প্রধানমন্ত্রী একান্তে ফুপু ডাকেন । আজ শেখ হাসিনা ভরসার একজনকে হারালেন। আমরা যারা সাজেদা আপার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি তারাও হারালাম একজন সিজনড পলিটিশিয়ানকে , যার কাছ থেকে তেমন কিছুই নিয়ে রাখতে পারলাম না! এ এক বড় আফসোস। কত স্মৃতি সাজেদা আপার সাথে।

কুতুবদিয়া থেকে মগনামা ঘাট স্পিডবোটে ঢাকার রাজপথে ঝাঝাঁলো মিছিলে প্রথম সারিতে, একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে শেখ হাসিনার দুর্দিনে ছায়াসঙ্গীদের একজন। আবার রমনার বটমূলে বা রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলনেও গানের সুরে কন্ঠ মেলাতে দেখেছি।

২০১৮ সালের সংসদে উপনেতা হবার পর ফোনে কথা হয়েছে একাধিকবার ,বলেছেন শরীরটা ভালো না। যাবো যাবো করেও আর দেখা হলো না। এজন্য আর বকাও দিবেনা এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। অতল শ্রদ্ধা ।

সম্পাদক, ডিবিসি নিউজ

বাংলাদেশ জার্নাল/মনির

  • সর্বশেষ
  • পঠিত