ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪১ মিনিট আগে
শিরোনাম

পিয়নের চেয়ে কম বেতন এমপিওভুক্ত শিক্ষকের

  শরীফুর রহমান আদিল

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০১৮, ১৪:২৮

পিয়নের চেয়ে কম বেতন এমপিওভুক্ত শিক্ষকের

গত কয়েকমাস ধরে নন-এমপিও শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন এমপিও পাওয়ার জন্য, একইসঙ্গে আমরণ অনশন, কর্তৃপক্ষের আশ্বাস সবমিলে প্রশ্ন জাগে যে শিক্ষকরা এমপিও পাওয়ার জন্য যে আমরণ অনশন করছেন এমপিওভুক্তি হলে আসলে শিক্ষকরা কি কি সুবিধা পাবেন? আর মূল প্রশ্ন জাগে মধ্যম আয়ের দেশে এ ধরণের প্রথার আসলেই কি কোনো যৌক্তিকতা আছে? ১৯৮০ সালের অনুন্নত বাংলাদেশে প্রবর্তিত প্রথাটি বর্তমান উন্নত বাংলাদেশে রাখার পক্ষে যৌক্তিকতা কী? এ সর্ম্পকে অর্থমন্ত্রী বহুবার বলেছেন যে- এমপিওভুক্তি পদ্ধতিটি বাজে পদ্ধতি। অর্থমন্ত্রীর সুরে আমরাও বলতে চাই এ বাজে পদ্ধতির অবসান ঘটানো হোক।

পিয়নের চেয়ে কম বেতন এমপিওভুক্ত শিক্ষকের

বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা কোনো ইনক্রিমেন্ট ও ভাতাবিহীন মূল স্কেলের শতভাগ বেতন পাচ্ছেন সরকার থেকে। উৎসব বোনাস মাত্র ২৫ শতাংশ। ৮ বছর চাকুরির অভিজ্ঞতার জন্য বেতন বৃদ্ধি হিসেবে পাবেন মাত্র ১০০০ টাকা। আর পদোন্নতিতে ৫:২ অনুপাত রয়েছে। মোদ্দাকথা হলো- গ্রেড -৯ এ একজন প্রভাষক যোগদান করলে ৬০ বছর বয়সে তার বেতন হবে ২৯০০০ টাকা! অর্থ্যাৎ, একজন শিক্ষক ৩৫ বছর চাকরি করলে তার বেতন বৃদ্ধি হবে মাত্র ৭০০০ টাকা! আর তার সারা জীবনের সঞ্চয় অবসর মাত্র ৭৫ মাসের বেতন! এমপিওভুক্ত একজন শিক্ষকের জীবনের সঞ্চয় ও আর্থিক হিসাব এটিই!

অস্থায়ী চাকরি! এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক তার চাকরি স্থায়ী বলে স্বস্তির ঢেকুর নিতে পারেন না। কেননা, এমপিওভুক্ত কখনো স্থায়ী নয় বরং শর্তসাপেক্ষ! অর্থ্যাৎ, তার বেতন যেকোনো সময় স্থগিত কিংবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ, এমপিও র টাকা পেতে হলে প্রতি বিভাগে কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী থাকা প্রয়োজন।

গতকয়েকদিন আগে ৫০৫ টি কলেজের বিরুদ্ধে একশন নেওয়ার কথা গণমাধ্যমে খবর হয়ে আসে। কারণ এসব প্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। এছাড়াও আরেকটি খবর ছিলো ২০২ টি মাদরাসার এমপিও বন্ধের নির্দেশ। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে সেখানে কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী নেই। মাদরাসার এমপিও বন্ধ মানে শিক্ষকরা বেকার। তাই প্রশ্ন জাগে- এতোগুলো প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দিলে কয়টি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি হবে? যেসব মাদরাসার শিক্ষকদের এমপিও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভাবতে পারা যায় এ পর্যায়ে এসে এসব শিক্ষক কিভাবে জীবিকা নির্বাহ করবেন? সন্মানী এ লোকগুলো বেকার হলে এ এমপিও প্রথার প্রয়োজন কোথায়?

অভিজ্ঞতার মূল্য নেই পৃথিবীতে এমন কোনো চাকুরি নেই যেখানে অভিজ্ঞ মানুষ কিংবা অভিজ্ঞতার মূল্য নেই। কেবল বাংলাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অভিজ্ঞতার কোনো মূল্য নেই। বরং যত বেশি অভিজ্ঞ সেইসব শিক্ষক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের ও শিক্ষার্থীদের নিকট ততবেশী অপদার্থ হিসেবে পরিণত হন। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক হওযায় তরুণ শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীদের বেশি ঝোঁক থাকে। ফলে অভিজ্ঞ যেকোনো শিক্ষকই সবার কাছ থেকে ধিক উপহার পান।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক যেন একজন সেলসম্যান এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী এমপিওভুক্ত একজন শিক্ষককে একজন সেলসম্যানের সঙ্গে তুলনা করা যায়! অর্থ্যাৎ সেলসম্যান তার টার্গেটের অতিরিক্ত পণ্য বিক্রি করতে পারলে যেমন সেখান থেকে অতিরিক্ত শতাংশ হারে বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে, আর না পারলে কেবল নির্দিষ্ট বেতন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। কর্পোরেট সেলসম্যানের মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাও সরকারের প্রদেয় নির্দিষ্ট বেতনের বাইরে প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়িভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রভৃতি পেতে হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। অর্থ্যাৎ, অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হলে কেবল শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠান থেকে উপরেল্লিখিত সুযোগ-সুবিধা পাবেন। অন্যাথ্যায় সরকারের দেওয়া কেবল স্কেল পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। তবে একজন সেলসম্যানের চাকরি বদলিযোগ্য। কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চাকরিতে বদলির কোনো সুযোগ নেই।

শ্রমিক থেকেও নিম্নমান এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ২০০৬ সালে প্রণীত শ্রম আইনের দ্বাদশ অধ্যায় দুর্ঘটনাজনিত কারণের জন্য ক্ষতিপূরনের বিধান রেখে ১৫০ ধারায় বলা হয়েছে। কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বেলায় এ ধরণের কোনো ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। শ্রম আইনের ১৯৫ ধারায় মালিকের পক্ষে অসৎ শ্রম আচরণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং শ্রমিককে তার নিরাপত্তা বিধান করা হয়েছে। কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষক নীতিমালায় পরিচালনা পর্ষদের কোনো কোনো কথা বা আদেশ শিক্ষাসুলভ নয়, তা নিয়ে কোনোকিছু আলোকপাত করা হয়নি। বরং বলা হয়েছে পরিচালনা পর্ষদের কোনো আদেশ অমান্য করা মানেই অসদাচরণ, যার শাস্তি অনেকটাই চাকরি থেকে বরখাস্তকরণ! শ্রম আইনের ১৩২ ধারায় মজুরী প্রদানের মাস শেষ হওয়ার ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মজুরি প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এরকম কোন বাধ্যবাধ্যকতা নেই ! এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা কখনো কখনো দুইমাস টাকা তুলতে পারেন না। শ্রম আইনে বিলম্বে মজুরি পরিশোধ বিলম্বে হলে সেক্ষেত্রে প্রতিকারের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এ ধরণের কোনো প্রতিকার নেই!

বেকার হন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এমপিও প্রথা বিদ্যমান থাকলে আগামীর বাংলাদেশে শিক্ষকরা সবচাইতে বেশি দুর্ভোগের শিকার হবেন। কেননা, বর্তমানে যে এলাকায় দুটি-তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে আগামী ২-৪ বছর পর সেখানে হয়তো আরো ৩-৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন লাভ করবে। তখন আগেকার ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী নাও পেতে পারে। যার পরিণতি মধ্যবয়সে চাকরি হারানো কিংবা বেকার। গত কয়েক মাসে শত শত প্রতিষ্ঠানের এমপিও বন্ধ হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বেকার হয়ে যান! এ সময় না থাকে তার অন্য কোনো সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করার বয়স, না থাকে তার শারীরিক সার্মথ্য, যাতে দেশে মেহনত করে কিংবা বিদেশে পাড়ি দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করার সুযোগ লাভ করার!

প্রাইভেট-কোচিং সম্প্রসারণ এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা তাদের বেতন-ভাতা একেবারে কম হওয়ায় এসব শিক্ষকের অধিকাংশ প্রাইভেট-কোচিং সেন্টার খুলে বসেন। ফলে সরকার শত চেষ্টা চালিয়েও এসব প্রাইভেট - কোচিং বন্ধ করতে পারছে না।

বদলি নেই, আছে দলাদলি এটি একটি বদলি অযোগ্য চাকরি। যার ফলে এসব শিক্ষক একগুয়ে, অনৈতিক প্রভাব, গ্রুপিং, মারামারি, রেষারেষিতে পড়েই থাকেন। এমনকি স্থানীয় রাজনীতিবিদদের রোষানলে পড়ে তার সৃজনশীলতা নষ্ট হয়ে যায়।

পরিচালনায় পরিচালনা পর্ষদ! এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে ম্যানেজিং কমিটি কিংবা গর্ভনিং বডি দ্বারা এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালিত। এই গর্ভনিং বডিতে অধিকাংশই রাজনৈতিক ব্যক্তিরা হয়ে থাকেন। ফলে শিক্ষকদের তারা কর্মীর চাইতেও অধম হিসেব ব্যবহার করেন। শিক্ষকরা তাদের তোষামুদ করতে বাধ্য হন। পরিচালনা পর্ষদের মন জয় করে না চললে তার চাকরি শেষ হওয়ার ভয় থাকে। ফলে শিক্ষকের মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে।

উচ্চশিক্ষায় দাম নেই উচ্চশিক্ষিতের! এমপিও নীতিমালা -২০১৮ এ স্নাতক স্তর কিংবা ডিগ্রি স্তরে কোনো শিক্ষক এম.ফিল বা পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনে উৎসাহিত করা হয়নি এমনকি এসব উচ্চতর ডিগ্রিপ্রাপ্তদের অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা কিংবা পদোন্নতির ক্ষেত্রে সুবিধা অথবা অধ্যক্ষ/ উপাধ্যক্ষ হওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের দেওয়ার কোনো বিধি রাখা হয়নি। প্রশ্ন হচ্ছে উচ্চশিক্ষায় উচ্চশিক্ষত তথা, এম.ফিল/ পিএইচডিপ্রাপ্তদের মূল্য না দিলে কোথায় এ সব ডিগ্রি ব্যবহৃত হবে?

থার্ড ক্লাস তৈরি করবে ফার্স্ট ক্লাস?

শিক্ষকতা পেশায় মেধাবীদের সম্পৃক্ত করতে শিক্ষাবিদরা সবসময় সরকারের কাছে দাবি জানালেও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ এ তৃতীয় শ্রেণিপ্রাপ্তরা শিক্ষকতার জন্য আবেদন করার সুযোগ করে দিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থাকে সেকেলে ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অথচ, ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রণীত বিধিতে শিক্ষক নিয়োগের ন্যূনতম

যোগ্যতা ছিলো দ্বিতীয় শ্রেণি। বাংলাদেশে এমন কোনো চাকরি আছে কি, যেখানে তৃতীয় শ্রেণিকে গ্রহণ করা হয় ? কোথায়ও না করলেও একমাত্র এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এটি গ্রহণযোগ্য।

যত আইন সব এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য জাতীয় শিক্ষা নীতি-২০১০, জাতীয় শিক্ষা আইন প্রভৃতিতে বেশিরভাগ জুড়েই লঘু অপরাধে এমপিও স্থগিতকরণ, বাতিলকরণ, কর্তন প্রভৃতির কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে সরকারিদের ক্ষেত্রে অনেকটাই নমনীয় ভাব প্রদর্শন করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ যত আইন আর শাস্তি সব এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত, সরকারি শিক্ষকদের জন্য নয়।

বাড়ি বাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারের নির্দিষ্ট পলিসি, পরিকল্পনা কিংবা এ সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় রাজনৈতিক পরিচয়ে, যশ-খ্যাতি কিংবা সুনামের জন্য অথবা, দুর্নীতিবাজ বোর্ড কিংবা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে প্রতিটি বাড়ির সামনে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে। আর এই শিক্ষকরাই তাদের এমপিও ধরে রাখতে প্রশ্নপত্র ফাঁস, পরীক্ষায় এমসিকিউ বলে দেওয়া ও পরীক্ষায় অনৈতিক সাহায্য করার প্রমাণ সাম্প্রতিক সময়ে পাওয়া যাচ্ছে। এটি একটি সিন্ডিকেটের মতোই হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা এমপিও প্রথা না থাকলে এ অনৈতিক প্রবণতা থাকতো না।

এতো কিছুর পরও প্রশ্ন উঠতে পাওে, তবে কেন এই এমপিওভুক্তির জন্য এতো হাহাকার? উত্তর হলো- তা কেবল দু’বেলা দু’মুঠো অন্নের জন্যই! আর এ উত্তর থেকেই অনুধাবন করা যায় যে শিক্ষকরা সমাজের কোন পর্যায়ে রয়েছে! শিক্ষক প্রশিক্ষণসমূহে শিক্ষকদের আধুনিক হওয়ার জন্য বললেই কেবল তারা আধুনিক হতে পারেন না কেবলই নিম্ন বেতনের জন্য। কেননা, তাদের আধুনিক হওয়াটা বেতনের সঙ্গে জড়িত।

আমাদের মনে রাখতে হবে শিক্ষকদের মানসিকতার প্রভাব পড়ে তার শিক্ষার্থীদের মস্তিস্কে। অথচ ৯৫ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে এই বেসরকারি শিক্ষকদের মাধ্যমে! এসব শিক্ষকদের বেতন নিম্ন হওয়ায় তাদের মানসিকতাও সর্বত্র সংকীর্ণ দেখা যায়। যা আগামীর নাগরিকদের জন্য সত্যিই ক্ষতিকর। তাই বিষয়টি নিয়ে এখনি ভাবার সময়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক কিংবা স্নাতক স্তরের শিক্ষা নিয়ে এখনি ভিশন কিংবা রূপকল্প ঘোষণা করা প্রয়োজন। রাস্তায় শিক্ষকদের আর্তনাদ আর হাহাকারে ব্যস্ত রেখে কোনো ফ্লাইওভার নির্মাণ কিংবা অন্য কোনো বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া শিক্ষকদের এক একটা কষ্টের দীর্ঘশ্বাস ছাড়া অন্য কিছুই নয়।

বাংলাদেশে যাকে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ বলা হয় সেক্ষেত্রে এতো বৈষম্য, এতো অস্থিরতা, এতো নিম্নমান কিভাবে সম্ভব? তাই সরকারকে সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের আওতায় নিয়ে আসা উচিত।

শরীফুর রহমান আদিল: শিক্ষক

  • সর্বশেষ
  • পঠিত