ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ওরা ভয়ঙ্কর প্রতারক

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:০৪  
আপডেট :
 ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:০৯

ওরা ভয়ঙ্কর প্রতারক

প্রতারক ওমর ফারুক। প্রধানমন্ত্রীর নামে ৬টি এবং তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে ১টি ভুয়া ফেসবুক একাউন্ট খুলে প্রতারণা চালিয়ে আসছিল। হাতিয়ে নিতো অর্থ। ওমর ফারুক নিজেই আওয়ামী লীগ সমর্থক গোষ্ঠীসহ জাতীয় নেতাদের নামে ৩৬টি ভুয়া একাউন্ট খুলেছিল। সে তার নিজের নামেও ৬টি ফেসবুক একাউন্ট খুলেছে। আরেক প্রতারক সাব্বির পেশায় সাইবার কমিউনিকেশন এক্সপার্ট। সে ইতোমধ্যে ৬টি মামলার এজহারভুক্ত আসামি। সে ইতোপূর্বে তারেক জিয়া সাইবার ফোর্স, দেশ নেত্রী সাইবার ফোরাম পেজের এডমিন ছিল। সম্প্রতি সেসব পেজের নামের জায়গায় শেখ হাসিনার পরামর্শক ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নাম সংযোজন করে তাতে নিরাপদ সড়ক চাই ও কোটা আন্দোলনসহ নতুন কোনো ইস্যু পেলে সেগুলো নিয়ে উসকানিমূলক ভিডিও পোস্ট করে আসছিল।

এরকম ৫ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। র‌্যাব-২ এর একটি বিশেষ দল তাদের গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, মো. ওমর ফারুক (৩০), মো. সাব্বির হোসেন (২৪), মো. আল আমিন (২৭), মো. আমিনুল ইসলাম (২৫), মো. মনির হোসেন (২৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১২টি মোবাইল ফোন এবং ১টি ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে সক্রিয় সাইবার অপরাধী চক্ররা এখনও ভিন্ন পথ অবলম্বন করছে। তারা এখন প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে ফেসবুকে ভুয়া একাউন্ট খুলে প্রতারণা ও রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মুফতি মাহমুদ খান বলেন, চক্রটি প্রধানমন্ত্রীর নামে খোলা ফেসবুক অ্যাকাউন্টগুলোতে জনসাধারণের গ্রহণযোগ্যতা পেতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরত। তাদের পোস্টগুলোতে ওমর ফারুকের নিজের মোবাইল নম্বর দেয়া থাকতো। পোস্টগুলো দেখে সাধারণ মানুষ তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোন করতেন। আর সেসব কল রিসিভ করত এই চক্রের সদস্যরা। তারা ফোন ধরে বলতো, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তারা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করছে ও কল রিসিভ করছে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ভুয়া এসব পেজে প্রধানমন্ত্রীর নামে নাম্বার দিয়ে তাদের নাম্বার যোগ করেছে। এতো অনেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে ওই নাম্বারে ফোন দিলে তারা ধরে। এর পর তারা নিজেদেরকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরকে প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করে।

সম্প্রতি সংসদে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন ফরম নেয়া প্রার্থীদের ফোন দিয়ে তাদের মনোনয়ন নিশ্চিতের ব্যাপারে প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চালিয়েছিল তারা। তবে গ্রেপ্তারকৃতরা কত অর্থ প্রতারণা করেছে এবং তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কি সেটি এখনও নিশ্চিত করতে পারেননি বলে জানান তিনি। তাদেরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তার আল আমিন পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী। সে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য জাতীয় নেতাদের ছবি বিকৃত আকারে প্রকাশ, বিভিন্ন জাতীয় প্রতিষ্ঠান যেমন-বিচার বিভাগ, সেনাবাহিনী, পুলিশকে ঘিরে মিথ্যা তথ্য সন্নিবেশ করে তাতে ভুয়া ছবি সুপার অ্যানিমেশনের মাধ্যমে ফেসবুকে পোস্ট করে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত