ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ০১ জানুয়ারি, ১৯৭০
শিরোনাম

ঢাকা-১৮ আসন উপনির্বাচন

জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে বিএনপির সাত মনোনয়ন প্রত্যাশীর অভিযোগ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:০৭  
আপডেট :
 ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:১১

জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে বিএনপির সাত মনোনয়ন প্রত্যাশীর অভিযোগ

ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপির সাতজন মনোনয়ন প্রত্যাশী অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী এস এম জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। গত শনিবার বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় এস এম জাহাঙ্গীরকে অভিযুক্ত করে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করেছেন তারা।

এই আসনে বিএনপির নয়জন নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী। এর মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, কফিলউদ্দিন আহমেদ, ইসমাইল হোসেন, আক্তার হোসেন মোস্তফা কামাল, বাহাউদ্দিন সাদী ও আব্বাসউদ্দিন লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন।

গত মঙ্গলবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেয়া ওই অভিযোপত্রে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজধানী গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাক্ষাতকারে প্রায় সকল মনোনয়ন প্রত্যাশীর সমর্থকরাই শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিল। হঠাৎ করে মনোনয়ন প্রত্যাশী এস এম জাহাঙ্গীরের বাহিনী লাঠি-সোটাসহ আরেক মনোনয়ন প্রার্থী এম কফিল উদ্দিনের সমর্থকদের উপর বর্বরোচিত হামলা করে।

এতে বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন, এস এম রাজ্জাক বকুল, ইয়াকুতুর রহমান, রায়হান, আব্দুর রাজ্জাক, সুলতান, বকুল মন্ডল, মাসুদ মিয়া, মহিউদ্দিন, বদরুল আলমসহ আরো বেশ কয়েকজন মারাত্মক আহত হন।

লিখিত অভিযোগে নেতৃবৃন্দ হামলার ঘটনায় বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও ছবি সংযুক্ত করেছেন। এরকম সংযুক্তিতে বলা হয়েছে- হামলায় লাঠি হাতে নেতৃত্ব দেন এস এম জাহাঙ্গীরের শালা ছাত্রলীগ নেতা দিপু সিকদার। এস এম জাহাঙ্গীরের আরেক শালা উত্তরা পূর্ব থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অপু সিকদার এবং আহম্মেদ আলী সাগর, দক্ষিণখান থানা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আল আমিন সরকার, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ুমের ঘনিষ্ঠভাজন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন রুবেল এবং এস এম জাহাঙ্গীরের নিজ এলাকা শরীয়তপুরের ছেলে মনিরুল ইসলাম সোহাগ এ হামলায় নেতৃত্ব দেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্বিতীয় দফায় গুলশান কার্যালয়ে প্রবেশের সময় কার্যালয়ের গেটে মনোনয়ন প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সেগুনকে এস এম জাহাঙ্গীরের বাহিনী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তৃতীয় দফায় হামলার প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেন দক্ষিণখান থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম মিঠু, উত্তরা পূর্ব থানা যুবদলের সভাপতি আমিনুল হক, তুরাগ থানা যুবদলের সভাপতি আলমাস আলী, উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এস আই টুটুল, বিমানবন্দর থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল রিয়াদ।

এরা সম্মিলিতভাবে গুলশান কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং গুলশান কার্যালয়ের নিচতলার অপেক্ষমান মনোনয়ন প্রার্থীদের উপর একযোগে হামলার চেষ্টা করে। এসময়ে তাদের হামলার শিকার হন উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির সিনিয়র নেতা ও আশির দশকের ছাত্রনেতা মতিউর রহমান মতি। তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন উত্তরখান থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল খান।

লিখিত অভিযোগের সঙ্গে এস এম জাহাঙ্গীর ও তার বাহিনী ২০১৭ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ছাত্রদলের ৬ জন নেতা-কর্মীকে উত্তরার অনুষ্ঠানে নৃশংসভাবে হামলা করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার ছবি এবং এর প্রতিবাদে ছাত্রদলের মানববন্ধনের ছবি ও খালেদা জিয়ার কাছে লিখিত অভিযোগের কপি সংযুক্ত করা হয়।

বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনের অন্তগত ১৪টি ওয়ার্ডের মোট ৮ জন কাউন্সিলরের চিঠি সংযুক্ত করা হয়। ওই চিঠিতে বিগত সিটি নির্বাচনে এস এম জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরদের সাথে আঁতাত, তার শ্বশুরবাড়ির আওয়ামী লীগের আত্মীয়দের সাথে আঁতাত করে বিএনপি প্রার্থীদের উপর হামলা করানো, তার অনুগত কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রায় সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়াসহ নানান অভিযোগ রয়েছে।

মনোনয়ন প্রত্যাশী সাতজন নেতা ঢাকা-১৮ এর নির্বাচনের তফসিল নভেম্বর মাসের আগে ঘোষণা হচ্ছে না বলে সময় নিয়ে হলেও এই তদন্ত প্রতিবেদন সম্পন্ন হওয়ার পর দোষী ব্যাক্তির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা ও বহিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীতা ঘোষণা না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন

ঢাকার দুই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর সমর্থকদের মারামারি

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত