ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ডাকসু নির্বাচন

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত কমিটির সংস্কার চায় বিএনপি

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৫৬

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত কমিটির সংস্কার চায় বিএনপি

দীর্ঘ আটাশ বছর পর বহুল আকাঙ্ক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনে পাঁচ সদস্যের এবং নির্বাচনের আচরণবিধি প্রণয়নে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে বিএনপির দাবি, নির্বাচনকে একপক্ষীয় করতে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের এসব কমিটিতে রাখা হয়েছে। বিএনপিপন্থী কোনো শিক্ষকের ঠাঁই হয়নি এসব কমিটিতে। তাই বিএনপির পক্ষ থেকে এসব কমিটির সংস্কার করে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের কমিটিতে স্থান দিয়ে ডাকসু নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার দাবি জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নালের সঙ্গে কথা হয় ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের প্রস্তুতির জন্য গঠিত কমিটির প্রধান শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঙ্গে। বিএনপির এই প্রচার সম্পাদক বলেন, ডাকসু নির্বাচনের জন্য দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এসব কমিটিতে রাখা হয়েছে আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের। বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের এতে রাখা হয়নি। যদি এসব কমিটি সংস্কার না করা হয়, তবে ডাকসু নির্বাচন একপক্ষীয় হবে। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদেরও এসব কমিটিতে রাখা হোক।

এ্যানি বলেন, আমরা ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। তবে ছাত্রদলের মতো অধিকাংশ ছাত্র সংগঠনেরই দাবি ছিল, ডাকসু নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে করা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেসব দাবির প্রতি তোয়াক্কা না করে একটি বিশেষ দলকে খুশি করতে ডাকসু নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র হলের ভেতরে করেছে, যা কাম্য নয়।

ক্যাম্পাসে ডাকসু নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, গত বেশ কয়েক বছর ধরেই ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে গেলে ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা করে। গতকালও (বুধবার) একজন ছাত্রদল নেতাকে মারধর করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার বিচার চেয়ে এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করে লিখিত অভিযোগও দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। আমি বলতে চাই, ক্যাম্পাসে ডাকসু নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকেই এগিয়ে আসতে হবে। নইলে ক্যাম্পাসে কিছুতেই সহাবস্থান সম্ভব নয়।

ছাত্রদলের প্যানেল নিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করিনি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা প্যানেলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো।

ছাত্রদল নেতাকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমরা এ বিষয়ে অবহিত আছি। আমরা বিষয়টি দেখছি। পাশাপাশি ব্লেমগেম করলে হবে না, দায়িত্ব নিতে হবে। এই নির্বাচন সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্বাচন। বাকিটা তাদের দায়িত্ব। আমরা সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত রেখেছি। কোনো অভিযোগ পেলেই আমরা দেখবো, তারপর ব্যবস্থা নিবো।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত