ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

করোনাভাইরাস

ঈদের ছুটিতে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পেতে কোথায় যাবেন?

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২০, ১৫:১২

ঈদের ছুটিতে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পেতে কোথায় যাবেন?
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশে সাধারণত ঈদের ছুটিতে চিকিৎসা সেবা খুবই সীমিত পরিসরে চালু থাকে। তবে এবার করোনার মহামারীর কারণে ভিন্ন রকমের ঈদ হচ্ছে।

তার মধ্যে আবার রয়েছে বিস্তর এলাকায় বন্যা। কিন্তু করোনাভাইরাসের তো আর ঈদের ছুটি নেই। বরং ঈদকে ঘিরে যে আন্তঃজেলা যাতায়াত হচ্ছে এবং বন্যার কারণে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিক।

জেনে নিন ঈদের ছুটিতে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা, চিকিৎসাসহ যদি জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দরকার হয় তাহলে কোথায় যাবেন।

পরীক্ষা দরকার হলে

মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশে সাধারণ মানুষজন সরকারি ব্যবস্থাপনায় করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে পারছেন। কিন্তু লক্ষণ দেখা না দিলে সাধারণত কেউ পরীক্ষার জন্য দরকারি তথ্য সংগ্রহ করেন না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঈদের ছুটিতেও করোনাভাইরাস সংক্রান্ত তাদের সকল কার্যক্রম একইভাবে চালু থাকবে।

যদি সরকারিভাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে চান তাহলে সেটি হতে পারে নির্ধারিত বুথে গিয়ে অথবা বাড়িতে এসেও নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা রয়েছে।

বাড়িতে বসেই পরীক্ষা

সরকারিভাবে পরীক্ষার জন্য প্রথমে আপনাকে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে। আর এই ফি এখন শুধুমাত্র ডাক বিভাগের ‌‘নগদ’ নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়।

নগদ ওয়েবসাইটে গিয়ে সেটি করতে পারেন। অথবা অ্যাপটি মোবাইলে ডাউনলোড করেও ফি জমা দিতে পারেন। এতে শুরুতে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে একটি নগদ অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্রের সকল তথ্য সরাসরি চলে যাবে নগদ অ্যাপের কাছে। এরপর অন্য সকল মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার মতোই এজেন্টের কাছে গিয়ে নগদ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে হবে।

এই অ্যাপ অথবা নগদ ওয়েবসাইটে গিয়ে ব্যাংকের ডেবিট কার্ড দিয়ে বা সরাসরি অনলাইন ব্যাংকিং-এর মাধ্যমেও টাকা পরিশোধ করা যায়।

বুথে নমুনা দিয়ে পরীক্ষা করালে ২০৫ টাকা আর বাড়িতে করাতে চাইলে ৫০৫ টাকা পরিশোধ করার পর মোবাইলে একটি ফিরতি মেসেজ পাবেন। যাতে একটি ট্র্যানজ্যাকশন আইডি নম্বর আসবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ০১৭৯৫০২৯১৬০ এই জরুরি নম্বরে এসএমএস করে ট্র্যানজ্যাকশন আইডি নম্বর, রোগীর নাম, বয়স, বাসার ঠিকানা ও ফোন নম্বর পাঠাতে হবে।

পের মাধ্যমে করোনাভাইরাস পরীক্ষার নির্ধারিত ফি পরিশোধ করা যায়।

৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বাসায় কেউ চলে আসার কথা। বুথে পরীক্ষা করাতে চাইলে অর্থ জমা দিয়ে একই তথ্য ও রোগী নিয়ে সরাসরি সেখানে যেতে হবে।

রিপোর্ট প্রস্তুত হয়ে গেলে ইমেইল ও এসএমএসের মাধ্যমে তা পাঠিয়ে দেয়া হবে।

অনলাইনে নিবন্ধন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ফিভার ক্লিনিকে অথবা বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের বুথে গিয়েও নমুনা দিতে পারেন।

তবে এই দুটি সংস্থার ক্ষেত্রে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে হবে। ফিভার ক্লিনিকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে এই লিংক ভিজিট করুন। আর ব্র্যাকের বুথে নমুনা দেবার জন্য নিবন্ধন করতে হলে এই লিংকে যেতে হবে। ওয়েবসাইটে আপনার এলাকায় সবচেয়ে কাছের বুথ নির্বাচন করে নিবন্ধনের বিস্তারিত তথ্য নিয়ে সেখানে যেতে হবে। তবে একদিন আগে এই দুটি যায়গায় নিবন্ধন করতে হবে। সরকার নির্ধারিত বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালেও করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে ফি হবে সাড়ে তিন হাজার টাকা।

করোনাভাইরাস হাসপাতালগুলো খোলা থাকছে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে এবারের ঈদেও স্বাস্থ্যসেবা খাতের সাথে জড়িতদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। শুধুমাত্র ঈদের দিন সকালে কিছুটা সময় বাদে বাকি সময়টা স্বাভাবিকভাবেই সকল কার্যক্রম চলবে।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালের ৬০ শতাংশ বিছানাই এখন খালি পড়ে আছে।

তবে সমস্যা হল রোগীর অবস্থা খুব সংকটাপন্ন হলে, আইসিইউ দরকার হলে বিভাগীয় শহরের বড় সরকারি হাসপাতাল ছাড়া উপায় নেই। সারা দেশে ২৮টি সরকারি হাসপাতাল এবং ৩৩টি বেসরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সেবা পাওয়া যায়।

তবে সরকারি হাসপাতালের ১৬টি আর বেসরকারি হাসপাতালের ২৫টিই ঢাকাতে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া বেসরকারি হাসপাতালের তালিকায় নাম থাকা সবগুলোতে অবশ্য করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা পাওয়া যায় না।

অ্যাম্বুলেন্স কোথায় পাবেন

অনেকেই জানেন না বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অ্যাম্বুলেন্স খুব কম খরচে পাওয়া যায়। যদিও সংখ্যায় কম হওয়ায় সবসময় চাইলেই সাথে সাথে অ্যাম্বুলেন্স বাড়িত পৌঁছে যাবে তেমন নাও হতে পারে। তবুও তথ্যটি নিশ্চয়ই জানা থাকা ভাল। এই সেবা পেতে চাইলে উদ্ধারকারী এই প্রতিষ্ঠানটির নম্বর ৯৫৫৫৫৫৫-এ ফোন করতে হবে। দেশের সকল মেট্রোপলিটান শহর এলাকায় প্রথম আট কিলোমিটারের জন্য খরচ পরবে ১০০ টাকা। আট থেকে ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ১৫০ টাকা। আন্তঃজেলা হলে প্রতি মাইল ১৫ টাকা।

অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন ব্যবহার করতে হলে তার খরচ ৬০০ টাকা। দমকল বাহিনীর অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়া গেলে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে পারেন। দেশের যেকোনো বড় হাসপাতালের বাইরে বিশেষ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাইরে সারি সারি পার্ক করা থাকে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স।

পরীক্ষা কেন্দ্র, হাসপাতালের তালিকা ও করোনাভাইরাসের স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত অন্যান্য আরো অনেক জরুরি তথ্য, ফোন নম্বর ও লিংক পাবেন সরকারি ওয়েবসাইট এই ঠিকানায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত