স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডাকে ঢাকায় কক্সবাজার যুবলীগের সভাপতি-সম্পাদক
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০১৮, ১৬:৫৯ আপডেট : ০৫ জুন ২০১৮, ১৭:০৫
কক্সবাজারের টেকনাফে 'বন্দুকযুদ্ধে' পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক নিহতের ঘটনার তদন্তের স্বার্থে জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহামদ বাহাদুর ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক সোহেলকে ডেকেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৪ জুন) মন্ত্রণালয় থেকে যোগাযোগ করার পর মঙ্গলবার (৫ জুন) তারা বিমানযোগে ঢাকার উদ্দেশ্য রওয়ানা হন। আজ দুপরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ঢাকায় রওনা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহিদুল হক সোহেল। নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, 'একরাম হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। দোয়া করবেন। আস্থা রাখুন জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর। জয় বাংলা.....জয় বঙ্গবন্ধু।'
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে শহিদুল হক সোহেল বলেন, 'সরকারের তরফ থেকে একরাম নিহতের ঘটনাটি তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের ডাকা হয়। স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সাথে আজ রাত ৯টায় আমাদের কথা হতে পারে। আগামীকাল কথা হবে প্রধানমন্ত্রীর সাথে। মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের এমনটাই জানানো হয়েছে।'
জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহামদ বাহাদুর বলেন, একরামুল হক নিহতের ঘটনায় সারা দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। একরামের ইয়াবা ব্যবসার সংশ্লিষ্টতা না থাকা ও তার মারা যাওয়ার মুহূর্তের অডিও রেকর্ড ভাইরাল হওয়ায় কঠোর সমালোচনা চলছে। এর প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন। তিনি ঘটনা তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। একরাম সম্পর্কে হয়তো আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হবে। একরাম সম্পর্কে আমরা যা জানি সব প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলবো।
গত ২৬ মে টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি, পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক র্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। ৩১ মে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একরামের স্ত্রী আয়েশা বেগম দাবী করেন, তার স্বামীকে 'ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে।' তিনি হত্যার আগে ও পরের তিনটি অডিও রেকর্ড সাংবাদিকদের শোনান। পরে ওই অডিও ক্লিপ গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
জেডআই