ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

দুই শিক্ষকের মারধরে ছাত্রের মৃত্যু

  নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৭:২৫

দুই শিক্ষকের মারধরে ছাত্রের মৃত্যু

নওগাঁর মান্দা উপজেলার দোসতি দাখিল মাদ্রাসার দুই শিক্ষকের বেধড়ক পিটুনিতে জয়নাল আবেদিন (১৩) নামের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) মারা যায় জয়নাল।

জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় দোসতি মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে চিঠি দেয়ার অপরাধে সুপার বিন-ইয়া আমিন, সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশিদ ও আব্দুর রাজ্জাক ওই মাদ্রাসার সপ্তম শিক্ষার্থী জয়নাল আবেদীন ও ফয়সাল হোসেনকে আমের ডাল দিয়ে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এ সময় দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তড়িঘড়ি করে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়।

জয়নালের বাবা জামিদুল ইসলাম জানান, অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে গিয়ে জয়নাল আবেদিনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার রাতেই তাকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মারা যায় জয়নাল আবেদিন।

মান্দা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহবুর আলম জানান, জয়নাল আবেদিন নামের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া পর তার পিতা-মাতাসহ আত্মীয়-স্বজনরা ময়নাতদন্ত না করেই গোপনে লাশ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই বাড়ি চলে আসে এবং গোপনে দাফনের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে মান্দা উপজেলার বৈলশিং পানাতাপাড়ার বাসিন্দা জামিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নিহত জয়নাল আবেদিনের লাশ নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

মাহবুর আলম আরও জানান, এ ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রের পিতা জামিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মাদরাসার সুপার বিন-ইয়া আমিন, শিক্ষক হারুন উর রশিদ ও শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে মান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় শুক্রবার সকালে মাদরাসা সুপার বিন-ইয়া আমিনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপর দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত