ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

ছোট বোনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসা

ছোট বোনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসা

নবনির্মিত রাষ্ট্রীয় তোষাখানা জাদুঘর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিজয় সরণির বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর সংলগ্ন এলাকায় নির্মিত এ জাদুঘরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ জাদুঘরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানাও।

উদ্বোধন শেষে জাদুঘরের মাঝখানে থাকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির সামনে দাঁড়িয়ে ছোট বোন রেহানাকে আদর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবিটি ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু আমাদের স্বাধীনতাই দিয়ে যাননি, তিনি আমাদের একটি স্বতন্ত্র দেশ উপহার দিয়ে গেছেন।

জাতি হিসেবে আমাদের তিনি মর্যাদা দিয়ে গেছেন। সেই মর্যাদা আমাদের রক্ষা করতে হবে। এই দেশকে আমাদের গড়ে তুলতে হবে। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার দেশ গড়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এ ছাড়া ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব, বলেন তিনি।

৫০ হাজার স্কয়ার ফিট এলাকা জুড়ে ৫ তলা অত্যাধুনিক এ রাষ্ট্রীয় তোষাখানা জাদুঘরটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। সেনাবাহিনীর তত্তাবধানে এটি নির্মাণ করা হয়। এর ব্যবস্থাপণার দায়িত্বে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী এবং সরকারের প্রতিনিধিদের বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া সকল রাষ্ট্রীয় উপহার সামগ্রী, গুরুত্বপূর্ণ দেশি ও বিদেশি সম্মানাও এখানে সংরক্ষণ করা হবে।

দেশে-বিদেশে পাওয়া সকল উপহার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় যথাযথভাবে সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের উপহারগুলো রাষ্ট্রে সম্পত্তি এবং এগুলো দেশের সম্মান ও মর্যাদা বহন করে। সুতরাং এগুলো খুব ভালো ভাবে সংরক্ষণ করা উচিত।

বিগত বিএনপি-জামায়াত আমলে বিভিন্ন উপহার ও দুর্লভ ছবি নষ্ট হওয়ার কথা উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রীয় উপহারগুলো সংরক্ষণে তোষাখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে তোষাখানা আইন প্রণিত হয় এবং বঙ্গভবনে এটি নির্মাণ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত