ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইবির ‘এফ’ ইউনিট নিয়ে ফের তদন্ত কমিটি

  ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:৩২

ইবির ‘এফ’ ইউনিট নিয়ে ফের তদন্ত কমিটি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ‘এফ’ ইউনিটের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক মঙ্গলবার ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেনকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম আক্তারুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ। কমিটিকে আগামী ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে ‘এফ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের সত্যতা যাচাইয়ে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামালকে আহবায়ক করে আরো একটি তদন্ত কমটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। তদন্ত প্রতিবেদনে প্রশ্ন ফাঁসের সত্যতা মেলে। পরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি প্রদান করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বছরের ৭ ডিসেম্বর ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ‘এফ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। তদন্তে প্রশ্নপ্রত্র ফাঁসের সত্যতা পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভায় ওই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

পরে ফারহানা আক্তার লিজাসহ ৮৮ জন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত বছরের ১৩ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগ সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুল জারি করেন। এরমধ্যে ওই বছরের ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘এফ’ ইউনিটে নতুন করে ভর্তি পরীক্ষা নেয়। এরপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই রুলকে যথাযথ (অ্যাবসুলেট) ঘোষণা করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করে। গত বছরের ২২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে হাইকোর্টের আপিল বিভাগ রায় বহাল রাখে। অবশেষে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তি বাতিলকৃত শিক্ষার্থীদের এ বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারির মধ্যে পুনরায় ভর্তি নোটিশ দেয়।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত