ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইবির ‘বি’ ইউনিটে ফল বিপর্যয়ের আশঙ্খা

  ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:৩০  
আপডেট :
 ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:৫২

ইবির ‘বি’ ইউনিটে ফল বিপর্যয়ের আশঙ্খা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটে ব্যাপকভাবে ফল বিপর্যয়ের আশঙ্খা করা হচ্ছে।

ফল প্রকাশের আগেই পাশের শর্ত কমিয়ে লিখিত পরীক্ষায় ৩ এবং এমসিকিউ এ ১৮ করে মোট ২১ এ পাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এছাড়াও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ও ও এমআর শিটে অসঙ্গতি নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পরীক্ষা বাতিল না করে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৪ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এবং আইন ও শরিয়াহ অনুষদের সম্মিলিত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই ইউনিটের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র কঠিন হওয়ায় ভতিচ্ছুরা সস্তিতে পরীক্ষা দিতে পারেনি।

শর্ত অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করতে হলে ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। এ অনুযায়ী পরীক্ষায় ৮০ নম্বরের মধ্যে ৩২ পেতে হবে। এর মধ্যে পাশ করতে হলে এমসিকিউ পদ্ধতিতে ৬০ নম্বরের মধ্যে ২৮ ও লিখিত পরীক্ষায় ২০ নম্বরের মধ্যে অবশ্যই ৭ নম্বর পেতে হবে।

কিন্তু ‘বি’ ইউনিটের লিখিত পরীক্ষায় খাতা মূল্যায়ন করতে গিয়ে শিক্ষকরা লক্ষ্য করেন আসনের সমান ভর্তিচ্ছু পাশ করতে পারেনি। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানালে ফলাফল বিপর্যয় ঠেকাতে ফল প্রকাশের আগেই পাশ কমিয়ে লিখিত পরীক্ষায় ৩ এবং এমসিকিউ এ ১৮ ই পাশ হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

‘বি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত একাধিক শিক্ষাক জানান, তাদের মূল্যায়ন করতে দেওয়া ১৬০টি খাতার মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় তিন থেকে চার জনশর্ত পূরণ করতে পেরেছে। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হয়।

এদিকে ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ও এমআর শিটে অসঙ্গতি পাওয়া যায়। পরীক্ষা শেষে অনুষদীয় সভায় সদস্যরা পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সুপারিশ আমলে না নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই তদন্ত কমিটি প্রশাসনের অনুরোধে পরীক্ষা বহাল রেখে উত্তরপত্র মূল্যায়নের বিষয়ে সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেন। ফলে পরীক্ষা বাতিল না করে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম অব্দুল লতিফ জানান, ব্যাবসায় প্রশাসন অনুষদ ভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি অংশ পৃথক ভাবে মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা এবং হিসাববিজ্ঞান অংশ দুই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। যে পদ্ধতিতে যে শিক্ষার্থী বেশি নম্বর পাবে তকে ওই ফল দেওয়া হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আশকারী জানান, ‘বি’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র একটু বেশি কঠিন হয়েছে। ফলে আসন সংখ্যক শিক্ষার্থী না পাওয়ায় আমরা কিছুটা শর্ত শিথিল করেছি। যাতে করে কোনো আসন ফাঁকা না থাকে।

‘সি’ ইউনিটের বিষয়ে তিনি জানান, অভিজ্ঞ তদন্ত কমিটি নিশ্চত করেছে এইভাবে খাতা মূল্যায়ন করলে শিক্ষার্থীদের প্রতি অধিকতর সুবিচার করা সম্ভব হবে। তাই ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই পরীক্ষায় ফল প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত