ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘স্বামীর যৌন চাহিদা মেটাতে বাধ্য নয় স্ত্রী’

‘স্বামীর যৌন চাহিদা মেটাতে বাধ্য নয় স্ত্রী’

বিয়ে মানে এই নয় যে, একজন স্ত্রী তার স্বামীর যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকবেন। মঙ্গলবার একটি মামলার শুনানিতে এ মন্তব্য করেছেন ভারতের উচ্চ আদালতের বিচারকরা।

বিচারপতি গীতা মিত্তাল ও বিচারপতি হরি শঙ্করের ওই হাই কোর্ট বেঞ্চে বলেছে, দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যেও যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারী কিংবা পুরুষ উভয়েরই ‘না’ বলার অধিকার রয়েছে।

স্ত্রীর অসম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে কি হবে না- শুনানিতে আইনজীবীদের উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্যে আদালতের এই পর্যবেক্ষণ আসে।

বিচারকরা বলেন, ‘বিয়ে মানে এই নয় যে নারীরা সব সময় তৈরি থাকবেন, ইচ্ছা ও সম্মতি দিয়ে (শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে)। পুরুষকে প্রমাণ করতে হবে যে নারীরও ইচ্ছা ছিল।’

তবে শুধু জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনই যে ধর্ষণ, তা মনে করার কারণ এখন নেই বলেও মন্তব্য করেছে আদালত। আদালতের বিচারকরা বলেন, ‘এটা বলা ভুল হবে যে ধর্ষণের জন্য জোর খাটানোটা জরুরি। ধর্ষণের ক্ষেত্রে শুধু জখমের দিকটি বিবেচনা করাও এখন ঠিক হবে না। বর্তমান বাস্তবতায় ধর্ষণের সংজ্ঞা সম্পূর্ণ আলাদা।’

পুরুষ কল্যাণ ট্রাস্ট নামে একটি এনজিওর বিরোধিতার মধ্যেই আদালতের এই বিপরীত মন্তব্য আসে। ওই এনজিওটি স্ত্রীকে ধর্ষণ অপরাধ হিসেবে বিবেচনার বিরোধিতা করছিল শুনানিতে।

আরআইটি নামে একটি এনজিও এবং অল ইন্ডিয়া ডেমক্রেটিক ওমেন অ্যাসোসিয়েশনের যৌথভাবে করা আবেদনে এই পর্যবেক্ষণ দেয় আদালত। ওই দুটি সংস্থা ভারতের পেনাল কোডের ৩৭৫ নম্বর ধারাটি চ্যালেঞ্জ করে আবেদনটি করেছিল। ওই ধারায় উল্লেখ রয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে কোনো ব্যক্তির সঙ্গম কিংবা যৌনাচার ধর্ষণ বলে গণ্য হবে না।

এই আবেদনের বিরোধিতায় পুরুষ কল্যাণ ট্রাস্ট শুনানিতে বলেছিল, বিয়ের পরও নারীদের যৌন সহিংসতা রক্ষায় যথেষ্ট আইন রয়েছে, ফলে ওই ধারাটির পরিবর্তন নিষ্প্রয়োজন। যার প্রেক্ষিতে উপরের মন্তব্যটি করে আদালতের বিচারকরা।

সূত্র: এনডিটিভি

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত