ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

বিষয় ভিত্তিক বিসিএস ব্যবচ্ছেদ!

  রাফী শামস

প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:২১  
আপডেট :
 ২১ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:৪৭

বিষয় ভিত্তিক বিসিএস ব্যবচ্ছেদ!

বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সব থেকে আকাঙ্ক্ষিত চাকরি হচ্ছে গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তার চাকরি বা বিসিএস। যে কোনো মূল্যে, বিসিএস এ চাকরি পাওয়াটাই এদেশের তরুণ সমাজের বিশাল একটা অংশের জীবনের লক্ষ্য! অধিকাংশের ক্ষেত্রেই বিসিএস-এ একটা চাকরি পেলেই হল, সে যে ক্যাডারই হোক। ফরেন ক্যাডার হলেও সে খুশি, আপত্তি নেই পরিবার পরিকল্পনাতেও! খুব কম লোকেরই নির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য আছে- যেমন, আমি দেশের প্রশাসনে ভূমিকা রাখবো বা আমি জাতিসংঘে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করব-এরকম। বেশিরভাগের লক্ষ্য-একটা সরকারি চাকরি!

কেন সরকারি চাকরি? 'সিকিউরিটি'। একবার সরকারি অফিসার হতে পারলেই কেল্লা ফতে। কেউ চাকরি থেকে সহজে বের করতে পারবে না। ভালো বেতন, সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি তো আছেই। আরেকটা ব্যাপার আছে- ভালো বিয়ে! এইতো সেদিন খবরের কাগজে দেখলাম, এক লোক ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট সেজে তিন তিনটে বিয়ে করে বসে আছে! তিনখানা বিয়ের জন্য কিন্তু সে কোম্পানির সিইও সাজেনি, সেজেছে ম্যাজিস্ট্রেট! কারণ বিসিএস অফিসার শুনলেই অনেক 'কন্যা দায়গ্রস্ত' বাবা-মা আকাশের চাঁদ পেয়ে যান।

বিয়ের বাজারে এক সময় ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার পাত্রদের বেশ ভালো 'দাম' ছিল। এখন দাম ভালো-আর্মি অফিসার আর সরকারি অফিসারদের! অনেক পিতামাতার কন্যা সম্প্রদানে মূল ক্রাইটেরিয়া হল ছেলে বিসিএস অফিসার হতে হবে। কাজেই 'নিরাপত্তা-টাকা-স্ত্রী' -আলাদীনের দৈত্যের কাছে আর কী চাই?

তো এই ফুল প্যাকেজ পাওয়ার জন্য ছেলেপেলেদের যে সীমাহীন আকাঙ্ক্ষা আর অসীম পরিশ্রম তার প্রমাণ পাওয়া যায় আমাদের লাইব্রেরিগুলো দেখলেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি, পাবলিক লাইব্রেরি- এগুলোর সামনে সকাল থেকে মানুষজন জুতো-ব্যাগ রেখে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। হঠাৎ করে কোন বিদেশি অতিথি এখানে আসলে ভাববেন, "ওরে বাপরে! এ কোন জ্ঞানীদের ভীড়ে এসে পড়লাম? পড়াশুনা নিয়ে এরা এত সিরিয়াস, এত লাইব্রেরি ওয়ার্ক করে।" আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে এই যে অসংখ্য মানুষ লাইব্রেরিতে আসে এদের শতকরা ৯৮ ভাগ বিসিএস এর পড়াশুনা করতে আসে।

অবশ্য এতে দোষের কিছু নেই। সবাই জানে, দেশে পড়াশুনার যে অবস্থা তাতে চাকরি ছাড়া গতি নেই। আর এত এত সুযোগ সুবিধা-সম্মান যেখানে, সেই চাকরির চেষ্টা করবে না কেন? তবে ক্লাসের প্রথম দিনে ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান যখন নতুন ছাত্রদের উপদেশ দেন- "এখন থেকেই বিসিএস এর প্রিপারেশন নাও", তখন বুঝতে হবে বড়সড় ঘাপলা আছে। এসব ডিপার্টমেন্টগুলো উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বরং বিসিএস এর কোচিং এর ব্যবস্থা করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

কী বলতে চাইছিলাম, আর কী বলছি। বাঙালির স্বভাবই এই। শুরু করবে বরিশালে, শেষ করবে আমেরিকায়। এই অধম আপনাদের সামনে এখন বিসিএস এর বিষয়ভিত্তিক একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা উপস্থাপন করবে। বিসিএস নিয়ে যাদের আগ্রহ নেই,তারা এখানেই বিদায় নিতে পারেন।

বিষয়ঃ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য

এই অংশে আছে ৩৫ নম্বর। ভাষা অর্থাৎ ব্যাকরণ অংশে ১৫ আর সাহিত্যে ২০। এই অংশের উদ্দেশ্য অতি মহৎ। পিএসসি তার অফিসারদের বাংলা ভাষা শিখিয়েই ছাড়বে। খুবই স্বাভাবিক। আপনি সরকারের প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা অথচ শুদ্ধ ভাবে নিজের ভাষাটি বলতে বা লিখতে পারেননা, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে সাহিত্য অংশটি নিয়ে আমার কিছু বক্তব্য আছে।

বিসিএস এর প্রশ্নে বাংলা সাহিত্যকে গুরুত্ব দেয়ার আদি কারণ কী ছিল, কেউ জানেন? পিএসসি সম্ভবত চাইছিল, সাহিত্য পাঠের অভ্যাস আছে এরকম মানুষ গুলো যেন অগ্রাধিকার পায়, সেটা নিশ্চিত করতে। অর্থাৎ যে ব্যক্তি সাহিত্য পাঠে অভ্যস্ত তার মানসিক গঠন, চিন্তা-ভাবনা উন্নততর হবে আর সেই উন্নততর লোক গুলোকে খুঁজে পেতেই হয়তো পিএসসি বিসিএস-এর প্রশ্নে সাহিত্য সমাবেশ ঘটিয়েছিল। কিন্তু আসলে কী ঘটলো?

'পথিক তুমি পথ হারাইয়াছো' অথবা 'প্রদীপ নিভিয়া গেল' -এই বাক্য গুলো জানতে এখন কপালকুণ্ডলা অথবা বীষবৃক্ষ পড়তে হয় না, পড়তে হয় বিসিএস গাইড। বিখ্যাত সাহিত্যিকদের বিভিন্ন রচনার অসংখ্য লাইন একত্রিত করা আছে এসব গাইডে, আপনাকে যেটা করতে হবে, সেটা হচ্ছে-মুখস্থ। সাহিত্য না পড়ে, শুধু একটি বা দুটি লাইন পড়ে উন্নত চিন্তা ভাবনা গড়ে তোলা যায় কিনা,সেই গবেষণার ভার মনোবিজ্ঞানীদের হাতেই ছেড়ে দিলাম। তবে একজন মানুষের পক্ষে যেমন সব বই পড়া সম্ভব না, তেমনি শুধু এসব কোটেশন মুখস্থ করে সাহিত্যকর্মটিকে উপলব্ধি করাও সম্ভব না। কোন সাহিত্যিক কবে নাসির-উদ্দীন স্বর্ণপদক পেয়েছেন- এটা জানা কিভাবে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা বাছাইয়ের ক্রাইটেরিয়া হতে পারে- সেটা আমার বোধগম্য না। তবে এটা সত্যি, এরকম দশাসই সাইজের একটা গাইড মুখস্থ করতে পারলে বিভিন্ন সাহিত্যিক আড্ডায় জ্ঞান ঝেড়ে সহজেই গুল মারতে পারবেন!

বিষয়: ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য

ইংরেজি নিয়েও একই কথা। মানে যাহা বাংলায়,তাহাই ইংরেজিতে। একজন প্রথমশ্রেণীর কর্মকর্তা ইংরেজি ভাষাটা ভালো করে জানবেন না, এটা হতে পারেনা। শুদ্ধ ভাবে ইংরেজি জানার জন্য গ্রামার অংশটি দরকারী। এখানেও কথা সেই সাহিত্য নিয়েই। বাংলাদেশিরা বাংলা সাহিত্যই ঠিক মত পড়েনা, ইংরেজি সাহিত্য তো দূরের ব্যাপার। আমাদের ইংরেজি সাহিত্য মানে ড্যান ব্রাউন, গেম অফ থ্রনস, হ্যারি পটার! তবে সমস্যা নেই, এই বিপদ থেকে মুক্তির জন্য আছে গাইড বই। আপনাকে ইংরেজি সাহিত্য বোদ্ধা বানিয়েই ছাড়বে গাইড বই গুলো।

কিছু বেসিক তথ্য সকলের জানা থাকা উচিত। তবে সেসব তথ্য তো একালে গুগল সার্চেও পাওয়া যায়। পিএসসি কেন তার অফিসারদের ইংরেজি সাহিত্য বিশারদ হিসেবে দেখতে চায় সেটা তারাই জানেন। তবে অনেক ভেবে আমি একটা সম্ভাবনা আবিষ্কার করেছি। সরকারী অফিসারদের তো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ভাষণ-বক্তৃতা দিতে হয়, তো এসব ভাষণের মধ্যে দু একটা কোটেশন বলতে পারলে ভাষণটা ওজনে একটু বাড়ে। কোটেশন যদি হয় ইংরেজিতে তবে তো সোনায় সোহাগা। রবার্ট ফ্রস্ট পড়ুক আর না পড়ুক কোন ভাষণের শেষে যদি 'miles to go before I sleep' লাগিয়ে দেয়া যায় তবে তালিটা একটু জোরে বাজে।

সবাই ঘুমানোর আগে মাইল খানেক যেতে চায় কিনা, সেটা জানিনা তবে এইসব কোটেশন, কবি ঔপন্যাসিকদের নামধাম শিখিয়ে বেশ একটা ইংরেজি সাহিত্যবিশারদ ভাব আনার ব্যাপারটা আমার ভালোই লাগে। লাখ খানেক পরিক্ষার্থীর মধ্যে দশজনও যদি ইংরেজি সাহিত্য পড়া শুরু করে,এরা যদি বিসিএস-এ নাও টিকে, তারপরও পিএসসি এখানে সার্থক!

বিষয়ঃ গণিত ও মানসিক দক্ষতা

গণিতের খুব বেসিক বিষয় গুলো থেকে প্রশ্ন করা হয়। তবে পিএসসির উদ্দেশ্য -কারা গণিত জানে সেটা দেখা নাকি কারা দ্রুত গণিত করতে জানে সেটা দেখা- এটা আমি নিশ্চিত নই। তবে কম্পিউটার- ক্যালকুলেটরের এই যুগে মুখে মুখে ৬৫.০০৫৪৭৮ এর বর্গমূল নির্ণয় করতে পারাটা আসলেই গণিত জানার প্রমাণ কিনা এ নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। মানসিক দক্ষতার প্রশ্ন গুলো স্যান্ডার্ড হয়। বিসিএস না দিলেও, বুদ্ধির খেলা হিসেবে গাইড বই থেকে ওগুলো সলভ করতে পারেন!

বিষয়ঃ বিজ্ঞান-কম্পিউটার-ভূগোল

বায়ুমণ্ডলে শতকরা কতভাগ আর্গন বিদ্যমান- এটা জেনে একজন সরকারি অফিসারের কী লাভ এই প্রশ্ন আমি কোন সময় সুযোগ পেলে পিএসসি কে করতে চাই। এখানেও বলতে হয় কিছু বেসিক জিনিস সবার জানা দরকার, অর্থাৎ একজন সরকারী অফিসার জানে কিনা সেটা যাচাই হওয়া দরকার। কিন্তু কিছু জিনিস আসলেই কোনদিন না জানলেও দেশ ও জাতির কোন ক্ষতি হবেনা।

পিএসসি তার অফিসারদের কম্পিউটারে দক্ষ হিসেবে দেখতে চায়, তাই প্রিলিতে ১০টি প্রশ্ন থাকে কম্পিউটার থেকে। এখন কোনটা জরুরি- পাওয়ার পয়েন্টে কাজ করতে পারা, নাকি পাওয়ার পয়েন্টের নির্মাতা কে এবং কতসালে কোন শহরে বসে এটা বানিয়েছে এবং সে সময়ে তার গায়ে কী রঙের শার্ট ছিল- এটা জানা?

ভূগোলে যাবার আগে একটা গল্প বলে নেই। কোন এক মণীষীকে নিয়ে প্রচলিত, নাম মনে নেই (আমার তো বিসিএস হবেনা !)। এক লোক সেই মণীষীকে এসে বললো, "আমি পৃথিবীর সব দেশ এবং তার রাজধানী ও মুদ্রার নাম মুখস্থ বলতে পারি, আমাকে আপনার জ্ঞানচর্চার কাজে নিন।" ওই মণীষী তখন বললেন, "সে তো আমি বই খুললেই খুঁজে পেতে পারি, তার জন্য তোমাকে নেয়ার দরকার কী?" আজকের যুগে থাকলে সেই মণীষী নিশ্চয়ই বলতেন, "সেতো আমি গুগল করেই পেয়ে যেতে পারি।" ভূগোল নিয়ে আর কথা বাড়াবো না। বাঙালি বেশি বড় পোস্ট আবার পড়তে চায়না।

বিষয়ঃ সাধারণ-জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক)

মুক্তিযুদ্ধ, দেশের আইন কানুন, সংবিধান, বিভিন্ন নিয়ম নীতি, অর্জন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিধি বিধান - এগুলো সরকারী অফিসারদের নখদর্পণে থাকা উচিত, কারণ তাঁদের কাজই এগুলোর সাথে। তবে আমাদের দেশে 'সাধারণ জ্ঞান' বলতে যে বস্তু প্রচলিত, তা মূলত সাধারণ নয়, বরং অসাধারণ জ্ঞান। যেহেতু মানব সভ্যতার বয়স নিতান্তই কম নয়, তাই এই অসধারণ জ্ঞান ভান্ডারে আসলে জ্ঞানের বা তথ্যের কমতি নেই। তথ্যের মহাসমুদ্রে পড়ে অনেক পরীক্ষার্থী তাই খেই হারিয়ে ফেলে। তবে এ ব্যাপারে আমার মটো হল- 'জানার কোন শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই।'

আমি বিসিএস-এর বিষয় গুলো নিয়ে আপনাদের সংক্ষিপ্ত ধারণা দিলাম। আপনি পরীক্ষার্থী হয়ে থাকলে ভুলেও এগুলোকে সিরিয়াসলি নিবেন না, এর থেকে আমাকে একটা গালি দিয়ে পড়তে বসে যান। আপনি পরীক্ষার্থী না হলে, আলোচনা চলতে পারে। আমি আসলে যে কথাটা বলতে চাচ্ছি সেটা হচ্ছে একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা সত্যিকার অর্থে দেশ পরিচালনা করেন, নীতি নির্ধারণ থেকে বাস্তবায়ন -সব কিছু তাদের হাত দিয়েই হয়। অর্থাৎ তাদের মেধা যেমন আমাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে, আবার তাদের কোন ভুলের মাশুল দিতে হবে জনগণকে।তাই এই নির্বাচন পদ্ধতিটা যথাসম্ভব আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক হওয়া উচিত। একগাদা তথ্য মুখস্থ রাখতে পারা লোকের থেকে থেকে ক্রিটিকাল থিংকিং, প্রবলেম সলভিং-এ দক্ষ লোক গুলোকে খুঁজে বের করাটা মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত ছিল। তবে ব্যাপারটা হল- বিসিএস মেধা যাচাই বা জ্ঞানী নির্বাচনের পরীক্ষা নয়, সরকারী 'চাকর' নির্বাচনের পরীক্ষা।

আর মালিক চাকর নির্বাচনের সময় জ্ঞানীর থেকে বেশি খুঁজে পরিশ্রমী। খুব সম্ভবত পিএসসির এই ধরণের প্রশ্নের মজেজাটাও তাই। এইসব অর্থহীন জিনিসপত্র পরিশ্রম করে, ধৈর্য্য ধরে পড়ে যারা লাখ লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে এগিয়ে থাকতে পারবে, তারাই চাকর হিসেবে যোগ্য। সিম্পল!

তবে অন্যান্য প্রোফেশনাল নিয়োগ পরীক্ষা গুলোতে বা বিসিএস-এর টেকনিকাল ক্যাডারে কেন এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় সেটা রহস্যের ব্যাপার। একজন ডাক্তারকে কেন বসে বসে গাইড বই থেকে ইংরেজি বাংলা কোটেশন মুখস্থ করতে হবে, রোগীকে অ্যানেস্থেসিয়ার সময় কবিতা শোনানোর জন্য? এইতো সেদিন পরমাণু শক্তি কমিশনে পরীক্ষা ছিল। সেখানে প্রশ্ন ছিল -'গোবি মরুভূমি নিয়ে কোন দুটি দেশের বিরোধ আছে?' আরে ভাই, পরমাণু শক্তিতে কাজ করার জন্য গোবি মরুভূমি নিয়ে জানতে হবে কেন? ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সেখানে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করছে নাকি?

কারো সরকারী চাকরি করার ইচ্ছা থাকতে পারে। অনেকের ইচ্ছা এবং লক্ষ্য থাকতে পারে প্রশাসক হবার বা ডিপ্লোম্যাট হবার। কিন্তু গণহারে লাখ লাখ ছেলেমেয়ে যে এই পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়, এটা কোন প্রফেশনের প্রতি ভালো লাগা থেকে নয়, কোন রকমে একটা চাকরি জুটানোর জন্য। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। তবে 'ব্যতিক্রম উদাহরণ নয়'। আচ্ছা এই কথাটা কে বলেছে? Shit! আমার তো বিসিএস হবে না!

  • সর্বশেষ
  • পঠিত