ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

এক ফোঁটা পানিরও চুক্তি হয়নি: মির্জা ফখরুল

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ মে ২০১৮, ২০:০০

এক ফোঁটা পানিরও চুক্তি হয়নি: মির্জা ফখরুল

গত ৯ বছরে তিস্তা নদীর এক ফোঁটা পানির ব্যাপারেও চুক্তি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে ইম্যানুয়েল'স ব্যাংকুয়েট হলে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সম্মানে এ ইফতারের আয়োজন করে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পশ্চিমবঙ্গ সফর প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেছেন। খুব ভালো কথা। পশ্চিম বাংলায় গেছেন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে তিনি বাংলাদেশের ভবন নির্মান করেছেন। অত্যান্ত ভালো কথা। সেই সঙ্গে আমাদের ও জনগণের প্রশ্ন, আমাদের যে পাওনা ও সমস্যাগুলো রয়েছে, এই সমস্যাগুলো সম্পর্কে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কথা বলছেন কি না?

আমরা তিস্তা নদীর পানির হিস্যা এখনও পাইনি দাবি করে তিনি বলেন, যেদিন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছিল, তখন তারা বলেছিল, এখন শুধু সময়ের ব্যাপার, আমরা তিস্তা নদীর চুক্তি করতে পারবো। কিন্তু এখন প্রায় ৯ বছর হয়ে গেল, এখন পর্যন্ত তিস্তা নদীর এক ফোঁটা পানির ব্যাপারেও চুক্তি হয়নি।

মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু তিস্তা নয়, অভিন্ন ১৫৮ টা নদীর রয়েছে, সেই নদীর পানি বন্টনের চুক্তি এখনও হয়নি। অথচ দেখা যাচ্ছে, সামরিক চুক্তি হচ্ছে, সীমান্তে মানুষ হত্যার বিষয় বাদ দিয়ে ট্রানজিট চুক্তি হচ্ছে এবং বিভিন্ন বন্দর নির্মান হচ্ছে। আমরা অবশ্যই যোগাযোগের পক্ষে। আমরা অবশ্যই একটি দেশের সঙ্গে আরেকটি দেশের সংযোগ হবে- তার পক্ষে। কিন্তু তার বিনিময়ে আমরা কি পাচ্ছি, সেটা জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে।

জনগণকে বোকা বানিয়ে ও তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার থাকতে চাচ্ছে- বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণা করতে পারবেন- উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনী বিধিতে ছিল, কোন নির্বাচনেই সংসদ সদস্য বা মন্ত্রীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এই নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের দাবির কাছে নতি স্বীকার করে তারা সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণার নামার জন্য অনুমোদন দিয়ে কাজ করছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা খুব স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ইসির এই পদক্ষেপ নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। সংসদ সদস্যদের যদি নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে দেয়া হয় তাহলে বিশেষ করে স্থানীয় ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোন মতেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী হবে না। সেই কারণেই আমরা এর বিরোধীতা করছি। আমরা মনে করি, এখনও সেটা আইনে পাশ হয়নি। সুতরাং এটা থেকে তারা (ইসি) বিরত থাকবেন এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করবেন।

আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. টিআইএম ফজলে রাব্বি চৌধুরী'র সভাপতিত্বে ইফতারে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল হালিম, নায়েবে আমীর মিয়া গোলাম পরোয়ার, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপা'র সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, কল্যাণ পার্টি মহাসচিব এম.এম আমিনুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোট (একাংশ) চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রকিব, মুসলিম লীগ সভাপতি এএইচএম কামরুজ্জামান খান, মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, খেলাফত মজলিশ যুগ্ম মহাসচিব শেখ গোলাম আজগর, ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, লেবার পার্টি (অপরাংশ) মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ন্যাপ ভাসানী সভাপতি অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমেদ, বিজেপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মতিন সাউদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুফতী মুহিউদ্দিন ইকরাম, ইসলামীক পার্টি সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, এনডিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ মুছা, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএমএম আলম, আহসান হাবিব লিঙ্কন, নবাব আলী আব্বাস খান, সেলিম মাস্টার, যুগ্ম মহাসচিব এসএমএম শামিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির পক্ষে ইফতারে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী হাসান রুমী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত