ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা বাতিলের দাবি বিএনপির

নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা বাতিলের দাবি বিএনপির

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনী আচরণ নতুন বিধিমালা বাতিলের জোর দাবি জানিয়েছে বিএনপি। শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ দাবি জানান।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা সংশোধন করেছে ইসি উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এর ফলে কোন নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তো হবেই না। বরং সুষ্ঠু ভোটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। কারণ স্থানীয় সাংসদরা এমনিতেই নিজ সংসদীয় এলকায় প্রভাবশালী, সকল সরকারিও স্থানীয় প্রশাসন থাকে তাদের প্রভাবাধীনে এবং সরকারি লোকজনদের এমপিদের ভয়ে তটস্থ থাকতে হয়। তারা যদি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয় তাহলে নির্বাচনী মাঠ সমতল থাকার প্রশ্নই ওঠে না। সরকারের ইচ্ছা পূরণে সিইসি বাংলাদেশে ভোটের ময়দানকে অসমতল করে দিলেন। আমি বিএনপি’র পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার এই সংশোধনীর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে নতুন বিধিমালা বাতিলের জোর দাবি করছি।

‘এটা গভীর ষড়যন্ত্রমূলক এবং ভোটের ময়দান ধ্বংসের সামিল। এর ফলে ভোটের মাঠে সমান সুযোগ থাকবে না। এটি ভোটারদের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। এটি নির্বাচনী রায়ের মধ্য দিয়ে জনগণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবার ক্ষমতাকে আটকে ফেলা হলো’।

তিনি বলেন, সিইসি চান না দেশে কোন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। নির্বাচনী আইন প্রণয়নের ফলে আইনের চোখে সবাই সমান থাকলো না। এটি সংবিধানের ২৬ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা তো খুলনাতেও দেখলাম, এতো বড় ভোট ডাকাতি হলো, সারা বিশ্বে এ নিয়ে তোলপাড় হলো। কিন্তু তিনি উটপাখির বালিতে মুখ গুঁজে চুপ করে থেকে আরো একটি সরকারের অনুকূলে কালো আইন তৈরি করে দিলেন।

মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিচার বহির্ভূতভাবে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৫ জনকে হত্যা করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী উল্লেখ করে রিজভী বলেন, গতরাতেও ৫ জেলায় ৭ জনকে ক্রসফায়ারে দেয়া হয়েছে। গোটা দেশকে হত্যার বধ্যভূমিতে পরিণত করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে মাদক নির্মূলের নামে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। এভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা সকলের জন্য রীতিমতো উদ্বেগ, ভয় ও বিপদের কারণ হতে পারে। এখন ক্রমান্বয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং নতুন করে টার্গেট করা হচ্ছে।

বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, জনগণকে ভয় পাইয়ে দিতে সরকারি চক্রান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে অন্যদিকে নিরীহ লোকদের ধরে হত্যা ও হত্যার ভয় দেখিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চলছে ঈদের আগে রমরমা বাণিজ্য। প্রত্যেক ঈদ মৌসুমে সরকার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে এধরণের রমরমা বাণিজ্য করার সুযোগ করে দেয়া হয়। এখন গ্রেফতার বাণিজ্যের পাশাপাশি হত্যা-বাণিজ্য চলছে।

কেএস/বিএএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত