ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘আগামী নির্বাচন অনিশ্চিত করছে সরকার’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৩০

‘আগামী নির্বাচন অনিশ্চিত করছে সরকার’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনিশ্চিত করছে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার সকালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মূলত নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও বিরোধী মতকে বাহিরে রাখতে সরকার বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে গায়েবী মামলা দিয়ে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে। অথচ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে পৃথিবীর কোনো দেশে এমন গায়েবী মামলা দায়ের করে না। সেজন্য কারা অভ্যন্তরের আদালতে খালেদা জিয়ার মামলার শুনানি বন্ধ করে সু-চিকিৎসার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। পাশাপাশি দলটির অভিযোগ, দেশব্যাপী বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দায়ের করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনিশ্চিত করছে সরকার।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল কারাগারে স্থানান্তরিত আদালত রায় দিয়েছে, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ চলবে। এটা বেআইনি। এটা তার প্রতি অবিচার ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। খালেদা জিয়া অসুস্থ, তিনি হাটতেও পারেন না। অথচ তাকে চিকিৎসা না দিয়ে আদালতকে কারাগারে স্থানান্তরিত করে বিচার কাজ পরিচালনা করছে। কিন্তু আইনে বলা আছে, বিচারকাজ চলতে হবে অভিযুক্ত ব্যক্তির সামনে অথচ আদালত আদেশ দিলো তার অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ চলবে।

তিনি বলেন, আদালতের এ আদেশ জনগণ মেনে নিতে পারছে না। এ আদেশ পরিবর্তন হওয়া জরুরি। আমরা আবারো দাবী জানাচ্ছি, খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হোক।

মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে গায়েবী মামলার সংখ্যা ৩৭০৬ টি, আর এজাহারে নাম আসছে ৩ লক্ষ ১৩ হাজারের বেশি, আর অজ্ঞাতনামা আসামি ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩০ জন, আর আটক করা হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ বেশি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিশ্বের যেকোনো দেশে নির্বাচনের সময় আসলে জনগণকে নির্বাচনমুখী করা হয়। অথচ বাংলাদেশে সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা দখল রাখতে বিরোধী দলের নেতাকর্মী সমর্থকদের নামে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। যাতে আবারো ৫ জানুয়ারি মত নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকতে চায়।

ফখরুল বলেন, সারাদেশে এসব গায়েবী মামলার কারণ হচ্ছে যাতে আওয়ামী লীগ আবারো ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে পারে। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো যেন নির্বাচনে আসতে না পারে এজন্য সরকার এসব মামলা হামলার পথ বেছে নিয়েছে।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, আপনারা অমানুবিকতার পথ পরিহার করে সোজা পথে আসুন। সব দলের সাথে আলোচনা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। না হলে একদিন জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে, কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, এ আইন করা হলো যাতে কেউ আর সরকারের অপশাসন, অন্যায় দুনীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে না পারে। এ আইনে কোনো সরকারী কর্মকর্তার গোপন তথ্য বা দুর্নীতির খবর প্রকাশ করলে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ২৫ লাখ টাকা জরিমানা। তাহলে বলেন, গণতন্ত্র কোথায়? সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত