ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

খাবারের টাকা চাওয়ায় পিস্তল নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার হামলা

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:৫১  
আপডেট :
 ০৪ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:৫৭

খাবারের টাকা চাওয়ায় পিস্তল নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার হামলা

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের হোস্টেলে ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে পিস্তল নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে হোস্টেলের তিনজন আবাসিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরে তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে হোস্টেলে এ হামলার ঘটনা ঘটলে একই দিন বিকেলে জরুরি সভা করে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ।

উপদেষ্টা কমিটির জরুরি সভায় কলেজ অধ্যক্ষ কাজী মনজুর কাদিরের সভাপতিত্বে কমিটির আট সদস্যের উপস্থিতিতে তিনটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো: হামলাকারীরা যদি আবাসিক হয়, তাদের আবাসিক সুবিধাসহ ছাত্রত্ব বাতিল, জড়িত অনাবাসিক ছাত্রদের ছাত্রত্ব বাতিল করার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং হামলাকারী বহিরাগতদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা।

সূত্র মতে, হামলার ঘটনায় এরই মধ্যে অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন হোস্টেল সুপার হাবিবুর রহমান। নোটিশ পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রুবেল হোসেন, আশরাফুল ইসলাম ওরফে জয়, মানিকুজ্জামান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আতাউল হক এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু রায়হান।

প্রত্যেক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বহিরাগত একদল সন্ত্রাসীকে সঙ্গে করে দেশীয় অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে ছাত্র হোস্টেলের ভেতর ঢুকে নিরীহ ছাত্রদের ওপর হামলা করে হোস্টেলের তথা কলেজের পরিবেশ বিনষ্ট করা হয়েছে। চিঠিতে ছাত্রত্ব কেন বাতিল করা হবে না, মর্মে তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সূত্র জানায়, কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হোস্টেলের আবাসিক ছাত্রদের সমন্বয়ে ডাইনিং পরিচালিত হয়। সেখানে রাফিউল ইসলাম নামের একজন আবাসিক ছাত্র ব্যবস্থাপক হিসেবে আছেন। ঘটনার দিন দুপুরে রুবেল ও আতাউলের কাছে ডিসেম্বর মাসের খাবারের টাকা চাইতে যান রাফিউল ইসলাম। এ সময় তারা রাফিউলের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। একপর্যায়ে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। এ সময় রুবেল কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীনকে ফোন করে হোস্টেলে ডেকে নেন। তাদের সঙ্গে আশরাফুল ইসলাম, মানিকুজ্জামান, আবু রায়হানসহ আরো কয়েকজন বহিরাগত সেখানে যান।

এ সময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ও পিস্তল ছিল। হোস্টেলে প্রবেশ করে তারা সজল, বিপুল ও মুন নামে তিন ছাত্রকে মারধর করেন। পরে আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। এর মধ্যে বিপুল ও মুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং সজলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, আহত সজল বাদী হয়ে গতকাল রাতেই জয়নালসহ ছয়-সাতজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি স্বপন হোসেন বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের সবাই কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী। অহেতুক তাঁদের মারা হয়েছে। জয়নাল ছাড়া হামলাকারীরা কেউ ছাত্রলীগের কেউ না। তবে তারা জয়নালের সঙ্গে চলাফেলা করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত