পৃথক ‘গোলাগুলিতে’ নিহত ৩
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ১২:২৮ আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ১২:৩৪
কক্সবাজারের টেকনাফ এবং ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পৃথক গোলাগুলিতে দুই রোহিঙ্গা এবং ১৩ মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন।
বুধবার ভোররাতে টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর এলাকায় র্যাবের সাথে গোলাগুলিতে ওই দুই রোহিঙ্গা যুবক নিহত হন।
নিহতরা হলেন, ক্যাম্প-১ এর ব্লক 'জি' এর হোসাইন শরীফের ছেলে হেড মাঝি আব্দুল হাসিম (৩০) ও ক্যাম্প-৭ এর ব্লক 'ই' এর শামসুল আলমের ছেলে মোঃ আয়ুব (২৮)।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি- মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর এলাকায় একদল রোহিঙ্গা মাদক কারবারি ইয়াবার বিশাল লেনদেন করবে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাবের একটি অভিযানিক দল ওই এলাকায় পৌঁছলেই উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা র্যাবের ওপর গুলি ছুঁড়ে। জীবন রক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।
র্যাব আরও জানায়, বেশকিছু সময় গোলাগুলির পর অস্ত্রধারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২টি ওয়ান শুটার গান, ৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৬ রাউন্ড কার্তুজের খোসাসহ দুই যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
পরে গুলিবিদ্ধদের টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহগুলো বর্তমানে মর্গে রয়েছে বলে জানায় র্যাব।
র্যাব-১৫ সিপিসি-২ এর ক্যাম্প কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শাহ আলম সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে, ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এনায়েত হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরে উপজেলার বারানখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, নিহত এনায়েত হোসেন বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বনচাকী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ডাকাত সর্দার ছিলেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ ও ডাকাতিসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বোয়ালমারী থানার ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
বোয়ালমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে
