ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

বন্ধুকে হত্যার দায় স্বীকার ঘাতকের

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ২৩:২৫  
আপডেট :
 ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ২৩:৩৬

বন্ধুকে হত্যার দায় স্বীকার ঘাতকের

ফতুল্লায় ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রী আব্দুর রহিম হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ‘ঘাতক’ সাদ্দাম হোসেন আসিফ। একই সঙ্গে অপর একটি আদালতে হত্যার আলামত নষ্ট করার দোষ স্বীকার করে একই ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন আসিফের মা রিজিয়া বেগম ও খালা সুলতানা।

এছাড়াও আদালতে হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী বাবু ওরফে নাটু এবং রিপন সরদার হত্যাকাণ্ডের পুরো বর্ণনা করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তারা আদালতকে জানিয়েছেন, তাদের দুজনের সামনেই সাদ্দাম হোসেন আসিফ একাই আব্দুর রহিমকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে।

রোববার দুপুর থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম নূরুন নাহার ইয়াসমিন ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ূন কবরীরের আদালত পৃথকভাবে তাদের ওই জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

‘ঘাতক’ সাদ্দাম হোসেন আসিফ মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার আমির খসরুর ছেলে এবং হত্যার শিকার আব্দুর রহিম একই এলাকার ইলিয়াস সদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া ঈমান আলীর ছেলে।

আব্দুর রহিম হত্যা মামলাটি তদন্ত করছেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন।

আদালতে জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, পাওনা বিশ হাজার টাকা নিয়ে কথাকাটির এক পর্যায়ে সাদ্দাম হোসেন আসিফ নিজেই আব্দুর রহিমকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। সে নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সঙ্গে তার মা রাজিয়া বেগম হত্যার পর ছুরির রক্ত ধুয়ে ফেলে সেটি আসিফের খালার কাছে দেন। পরে খালা সুলতানা বেগম সেই ছুরি পানিতে ফেলে দেন বলে আদালতে তারা নিজেদের এই অপরাধ স্বীকার করেন।

আসলাম হোসেন বলেন, বাবু ওরফে নাটু এবং রিপন সরদার নামে দুজন ওই হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। আমরা এ দুজনকেও আদালতে হাজির করেছি। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী হিসেবে ঘটনার বর্ণনা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আব্দুর রহিম হত্যার পর গত ৪৮ ঘণ্টায় একটানা এ নিয়ে কাজ করে মামলার বিচারিক কার্য শুরু করার সবগুলো ধাপ প্রায় শেষ করেছি। এরমধ্যে আসামী শনাক্ত করা থেকে শুরু করে তাদেরকে গ্রেপ্তার এবং হত্যার কারণ উদঘাটনসহ প্রত্যক্ষদর্শী দুজন স্বাক্ষীকে আদালতে হাজির করি। এখন আর এই হত্যায় বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে কোনো সমস্যা হবে না। শিগগিরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।

প্রসঙ্গত, ১৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাসদাইর গুদারঘাট এলাকার ফারুক ওরফে নষ্ট ফারুকের মোবাইলে ফ্লেক্সিলোডের দোকানে আব্দুর রহিম নামের ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে ফেলে রাখা হয়। পরে খবর পেয়ে তার পিতা ঈমান আলী এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে খানপুর হাসপাতাল নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রহিমকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহত রহিমের মা রিহমা বেগম বাদী হয়ে একই দিন দিবাগত রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ এদিন ভোরের দিকে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি পাঁচগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যায় সরাসরি জড়িত সাদ্দাম হোসেন আসিফকে এবং মাসদাইর থেকে তার মা রিজিয়া বেগমকে ও কাশিপুর চর নরসিংপুর থেকে সুলতানা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত