ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণ

  কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:৫১

কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণ

কিশোরগঞ্জের ৭০০ কৃষকের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের বট কেনাফ বীজ বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট তাদের হাতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ১ হাজার ৭০০ কেজি বীজ বিতরণ করা হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত বছর কিশোরগঞ্জে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে কেনাফ চাষ হয়েছিলো। এ বছর চাষের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা তাদের।

জানা গেছে, ১০০ দিন সময়ের মধ্যে প্রতি হেক্টর কেনাফ ফসল বাতাস থেকে প্রায় ১৪.৬৬ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং ১০.৬৬ টন অক্সিজেন নিঃসরণ করে বায়ুমন্ডলকে বিশুদ্ধ ও অক্সিজেন সমৃদ্ধ রাখে।

কেনাফ আঁশ থেকে কাগজের পাল্প বা মন্ড তৈরি করে নিউজপ্রিন্ট মিলের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার, কেনাফ খড়ি হার্ডবোর্ড বা পার্টেক্স মিলের কাঁচামাল ও চারকোল তৈরিতে ব্যবহারযোগ্য। তা ছাড়া কেনাফ খড়ি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার এবং বীজ থেকে ঔষধি গুণ সম্পন্ন তেল পাওয়া যায়।

কিশোরগঞ্জ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট জানায়, ১ হাজার ৭০০ কেজি বীজ ৪৪০ একর জমিতে চাষ এবং ৪০০ টন আঁশ ও ৮০০ টন পাটখড়ি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া এ পাট টেক্সটাইল চট, কম্বল, প্লেন পার্টস, মোটরকার পার্টস, কম্পিউটার পার্টস, কুটির শিল্পজাত দ্রব্য, শিকা, মাদুর, জায়নামাজ, টুপি, স্যান্ডেল এবং কাপড় চোপড় জাতীয় সোফার কভার, পর্দার কাপড়, বেডশিট, কুশন কভার, সাটিং সুটিং, পাঞ্জাবি, সোয়েটার ছাড়াও বিভিন্ন কাজে ইনটেরিয়র ইনস্যুলেটর হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে।

বীজ বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব মো. আবুল বাশার, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব রঞ্জন চদ্র দাস প্রমুখ।

পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্র কিশোরগঞ্জ অফিসের প্রধান ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলায় প্রায় ১৫৩০০ হেক্টর জমিতে পাট ও কেনাফ আবাদ করা হয়। এতে প্রায় ১৩২ মেট্রিক টন বীজের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রায় ১০০ মেট্রিক টন কেনাফ ও মেস্তার বীজের প্রয়োজন হয়। অত্র কেন্দ্র থেকে গবেষণার পাশাপাশি যে অতিরিক্ত পরিমাণ বীজ উৎপাদন হয় তা ন্যায্য মূল্যে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু তা চাহিদার মাত্র ৩-৫% মেটানো সম্ভব হয়। বাকি বীজের চাহিদা আমদানি কৃত বীজের মাধ্যমে মেটানো হয়। কিন্তু আমদানিকৃত বীজের মান ও গুণাগুণ ভালো না হওয়ার কৃষকরা পাট গবেষণার বীজের প্রতি দিন দিন ঝুকে পড়ছে। তাদের মতে পাট গবেষণার বীজ মানেই ভালো ও উচ্চ ফলনশীল।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত