ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

নিষিদ্ধ সময়েও রায়পুরের গ্রামে গ্রামে রুপালী ইলিশ

  রায়পুর (লক্ষ্মীপর) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২০, ১৩:০৫

নিষিদ্ধ সময়েও রায়পুরের গ্রামে গ্রামে রুপালী ইলিশ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নিষিদ্ধ সময়ে ঘরের সামনে মিলছে রুপালী ইলিশ। জেলেরা প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা করে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।

গৃহিনীরাও কম দামে বাড়ীর সামনে ইলিশ পেয়ে বেজায় খুশি। রোববার সরেজমিনে রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়ন,উত্তর চরবংশী, পৌর শহর, কেরোয়া, চরপাতা ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের ইলিশ মাছ বিক্রির এমন চিত্র দেখা গেছে।

জেলেদের দাবি পেটের তাড়নায় আড়তদার থেকে কিনে নিয়ে তারা বিক্রি করছেন এবং আড়তদার জেলেদের বিক্রি করার সাহস দিয়ে বলছেন প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ লোকজন তোদের কোন ক্ষতি করবে না।

সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর দক্ষিণ ও উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়নে মেঘনার কয়েকটি মাছ ঘাট রয়েছে, তার মধ্যে অভিযোগ উঠেছে,খাসের হাট বাজারের খুব ভোরে, পুরান বেড়ী চান্দার খাল আড়তে গভীর রাতে মাছ বিক্রি করছেন, বাচ্চু খাঁ, রতন হাওলাদার, মিজান বেপারী, লোকমান বেপারী, আজগর সর্দারসহ অন্যরা।

সাইজ উদ্দিন মোল্লার ঘাটের অপর দিকে বিক্রি করছেন সিন্ডিকেট নেতা চর ভৈরবীর রুহুল আমিন মেম্বারের ছেলে বিল্লাল, আবুল হোসেন, মানিক সর্দার সহ ৩৫/৪০ জন। দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের পানির ঘাটের দুলাল ছৈয়াল, দুলাল সর্দার মনির সহ ৫/৭জন এ সিন্ডিকেট পরিচালনা করে আসছে।

এলাকাবাসী মনে করে এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে অচিরেই রায়পুরের মেঘনায় অবৈধভাবে ইলিশ ক্রয় বিক্রয় বন্ধ হয়ে যাবে।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন সবুজ বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, রোববার সকালে অভিযান চালিয়ে রায়পুরের মেঘনা নদী থেকে মাছ ধরার অপরাধে ৩মন জাটকাসহ ২০ জন জেলেকে ৩টি নৌকাসহ আটক করা হয়েছে । সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য যে, জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদনের লক্ষ্যে মার্চ-এপ্রিল ২মাস মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানায়, জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২মাস নদীতে সকল ধরনের জাল ফেলা ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুরে রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১শ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। মৎস অফিস জানায়, এ একশ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

এসময় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাত করন ও মজুদকরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। ইলিশের উৎপাদন ও জাটকা সংরক্ষণের লক্ষ্য ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত