ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে বললো হেফাজতে ইসলাম

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ মে ২০২০, ০০:৫৩

সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে বললো হেফাজতে ইসলাম

করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি থাকবে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত। রোজা ও ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে কি না এখন সে নিয়েই চলছে জোড় গুঞ্জণ।

তবে এদিকে অন্যান্য সেক্টরের মত ঈদের ছুটি শেষে স্বাস্থ্যবিধির আওতায় এনে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরী যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়। আর বিবৃতিতে সরকার প্রধানের কাছে আহ্বান জানান দেশের শীর্ষ ২৪ আলেম।

বিবৃতিতে আলেমগণরা বলেন, আল্লাহ প্রদত্ত করোনা নামক মহামারির কারণে গোটা পৃথিবীর শৃঙ্খলা তছনছ প্রায়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সরকার জনস্বাস্থ্য নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে দীর্ঘ ছুটি, গণপরিবহণ বন্ধসহ অনেক কিছুতে নিয়ন্ত্রণারোপ করেছে। ইতোমধ্যেই আমরা লক্ষ্য করছি যে, দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে রক্ষার লক্ষ্যে হাট-বাজার, শপিং মল, গার্মেন্টস, সচিবালয়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তারোপ করে খুলে দেয়া হচ্ছে। দেরিতে হলেও আল্লাহর ঘর মসজিদও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমা ও তারাবির নামাজের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এই জন্য আমরা সরকারকে সাধুবাদ জানাই।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। সুশিক্ষিত জাতিই দেশের শৃঙ্খলা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাবিকাঠি। শিক্ষা মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। সুতরাং দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের মূল্যবান একটি শিক্ষাবর্ষ যাতে তাদের হাতছাড়া না হয়ে যায়, শিক্ষার ধারাবাহিক গতিপ্রবাহ থেকে যাতে শিক্ষার্থীরা ছিটকে না পড়ে, সেদিকে সচেতনতার সাথে সুদৃষ্টি রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটির পর অন্যান্য সেক্টরের ন্যায় জরুরি স্বাস্থ্যবিধির মেনে চলার ভিত্তিতে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবৃতিদাতা আলেমগণরা হলেন, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী (আহ্বায়ক- সমমনা ইসলামী দলসমূহ), আল্লামা হাফেজ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী (আমির- খেলাফত আন্দোলন), ড. আহমদ আবদুল কাদের (মহাসচিব খেলাফত মজলিস), মাওলানা মাহফুজুল হক (মহাসচিব- বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস), ড. ঈসা শাহেদী (সভাপতি- ইসলামী ঐক্য আন্দোলন), আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফী (সহ-সভাপতি- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ), অ্যাডভোকেট কাজী আবুল খায়ের (মহাসচিব- মুসলিম লীগ), আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক (সহ-সভাপতি- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ), আল্লামা জুনায়েদ আল হাবীব (যুগ্মমহাসচিব- হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ), মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজি (মহাসচিব- খেলাফত আন্দোলন), মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী (নায়েবে আমির- খেলাফত আন্দোলন), মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন (নায়েবে আমীর- খেলাফত মজলিস), মাওলানা শফিক উদ্দীন (যুগ্ম মহাসচিব- খেলাফত মজলিস), মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি (যুগ্ম মহাসচিব- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ), মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া (সহসভাপতি- বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া), মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী (যুগ্মমহাসচিব- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম), মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ (যুগ্ম মহাসচিব- বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস), মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী (যুগ্ম মহাসচিব- খেলাফত মজলিস), মাওলানা আবুবকর সিদ্দিক (কেন্দ্রীয় নেতা- ইসলামী ঐক্য আন্দোলন), মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল (সাংগঠনিক সম্পাদক- বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস), মাওলানা মোহাম্মদ ফয়সল, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী (সাংগঠনিক সম্পাদক- খেলাফত মজলিস), অধ্যাপক মোঃ আবদুল জলিল, মোঃ নজরুল ইসলাম (সহসভাপতি- মুসলিম লীগ) প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত