ঢাকা, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

আজ সংসদে আসতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছিলো: প্রধানমন্ত্রী

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২০, ১৬:১৬  
আপডেট :
 ১৪ জুন ২০২০, ১৬:১৯

আজ সংসদে আসতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছিলো: প্রধানমন্ত্রী

করোনা পরিস্থিতির কারণে আজ আমাকে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে বাধা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আজ সংসদে আসব, অনেক জায়গা থেকে কিন্তু আমাকে ভীষণভাবে বাধা দেয়া হয়েছে, নিষেধ করা হয়েছে। আমি বললাম গুলি, বোমা, গ্রেনেড কত কিছুই তো মোকাবিলা করে এ পর্যন্ত এসেছি। আর একটা অদৃশ্য শক্তি তার ভয়ে ভীত হয়ে থাকবো?

রোববার জাতীয় সংসদে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। এসময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মৃত্যুতে তিনি শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কোনো নেতাকর্মী মারা গেলেও আমরা ছুটে গেছি তার জানাজায়, কবরে ফুল দেয়া ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য। এখন এমনই অস্বাভাবিক পরিবেশ যে আমরা এবার সেটা করতে পারলাম না। সেটাই হলো সবচাইতে বড় কষ্টকর। একটা আতঙ্ক, ভয়-ভীতি যেন সারাবিশ্বকে পেয়ে বসেছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘দারিদ্র্যের হার মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই আমরা কমিয়ে এনেছি। আমাদের জিডিপি বেড়ে গিয়েছিল। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছিলাম। কিন্তু এমন একটি অদৃশ্য শক্তি সারাবিশ্বটাকে স্থবির করে দিয়েছে। সারাবিশ্বে কেমন একটা অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করল। আমাদের কোনো নেতাকর্মী মারা গেলেও আমরা ছুটে গেছি তার জানাজায়, কবরে ফুল দেয়া ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য। এখন এমনই অস্বাভাবিক পরিবেশ যে আমরা এবার সেটি করতে পারলাম না। সেটিই হলো সবচাইতে বড় কষ্টকর। একটা আতঙ্ক, ভয়ভীতি যেন সারাবিশ্বকে পেয়ে বসেছে।’

করোনাকে যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করে সরকার প্রধান বলেন, ‘এটি এক ধরনের যুদ্ধ। এই সময় আমাদের দুজন হারালাম, যারা সবসময় আমাদের সঙ্গে ছিল। তাদের হারানোটা অত্যন্ত কষ্টের। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’

প্রসঙ্গত, শনিবার আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম ও আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মারা যান। নাসিম করোনায় আক্রান্ত হলেও পরে মুক্ত হন। কিন্তু আবদুল্লাহর মৃত্যু সর্বনাশা করোনায়।

করোনার সংক্রমণের হার বিবেচনায় এলাকা ভিত্তিক লকডাউন করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঠিক করেছি কোন কোন এলাকায় বেশি কোভিড-১৯ দেখা যাচ্ছে সেটা লকডাউন করা। যাতে সেখান থেকে কোনোরকম আর সংক্রমিত না হয়। সাথে সাথে যেন আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল থাকে সেদিকেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত