ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

সিন্ডিকেটের হাতে পাথর ব্যবসা, বেড়েছে দাম

  হিলি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২০, ১৭:২৮  
আপডেট :
 ০১ জুলাই ২০২০, ১৭:৫৪

সিন্ডিকেটের হাতে পাথর ব্যবসা, বেড়েছে দাম

দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয় ভারত থেকে পাথর আমদানি। আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও হঠাৎ করে বেড়েছে পাথরের দাম। প্রতি টনে বেড়েছে ৭শ' থেকে ৮শ' টাকা।

দুই-চারজন আমদানিকারক ও ভারতীয় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পাথরের দাম বাড়িছে বলে অভিযোগ করেছেন আমদানিকারকরা।

করোনার কারণে পাথর আমদানি বন্ধ থাকলেও আমদানি শুরু হয় ১৫ জুন থেকে। তবে আগের থেকে এই বন্দর দিয়ে কমেছে পাথর আমদানি। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে ভারত-বাংলাদেশের পাথর ব্যবসায়ী মহলের একটি সিন্ডিকেট।

৮শ' থেকে ৯শ' টাকা প্রতি টন পাথরে বাড়িয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৮শ' থেকে ৩৯শ' টাকা দরে। এদিকে পাথরের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেচকেনা করতে সমস্যা হচ্ছে সাধারণ ব্যবসায়ীদের। নতুন করে আমদানি করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন বেশকিছু আমদানিকারক।

স্থানীয় কয়েকজন পাথর আমদানিকারক বলেন, করোনাভাইরাসের ফলে লকডাউন ঘোষণার আগে আমরা ভারতে পাথরের অনেক এলসি করেছিলাম। লকডাউনের কারণে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার কারণে সেগুলো আনতে পারিনি। তবে লকডাউনের পর আবারও হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু হলেও কিছু আমদানিকারক ও ভারতীয় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পাথর আমদানি স্বাভাবিক থাকার পরেও দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে আমাদের ব্যবসা করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

তারা আরো বলেন, ভারত থেকে পাথর আমদানি করতে পারছে গুটিকয়েক আমদানিকারক। সিন্ডিকেট করায় ব্যবসা চলে যাচ্ছে তাদের হাতে। আর সুযোগ বুঝে তারা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। বন্ধের আগে যে পাথরগুলো আমরা ২৯শ' থেকে ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি করলেও এখন তাদের সিন্ডিকেটের কারণে সেই পাথর বিক্রি হচ্ছে ৩৮শ' থেকে ৩৯শ' টাকা প্রতি টনে।

কথা হয় বগুড়া থেকে পাথর কিনতে আসা শফি মাহমুদ সাথে। তিনি বলেন, হঠাৎ করে পাথরের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এভাবে দাম বাড়ালে আমাদেরকে পথে বসতে হবে।

হিলি কাস্টমসের সহকারি কমিশনার আব্দুল হান্নান জানান, ৮ জুন এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হলেও ১৫ জুন থেকে পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। ১২ কর্মদিবসে ২৮ হাজার ৬২ মেট্রিক টন পাথর আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে, যা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ কোটি ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ২৪৮ টাকা।

তিনি আরো জানান, এই মহামারির মধ্যে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আমরা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে করে সরকারের রাজস্ব আদায় অব্যহত থাকে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত