ডাক্তারের স্বাক্ষর জাল: ৪ মালিক-কর্মচারী কারাগারে
বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২০, ২০:৪৭
চিকিৎসকের স্বাক্ষর ব্যবহার এবং নকল সামগ্রী দিয়ে পরীক্ষার রিপোর্ট করে রোগীদের সাথে প্রতারণা করায় বরিশাল নগরীর আগরপুর রোগের 'দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেস' নামে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। একইসাথে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই মালিক ও দুই ভুয়া টেকনোলজিস্টকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
শনিবার বিকেলে অভিযান শেষে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শাহিন ও তার ভাই ইব্রাহিমকে ছয় মাস করে এবং দুই ভুয়া টেকনিশিয়ান শ্যাম সাহা ও শ্যামল মজুমদারকে তিন মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
ডিবি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রেজাউল করীম জানান, গোয়েন্দা পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং জেলা প্রশাসন যৌথভাবে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমানের উপস্থিতিতে এ অভিযান চালায়। রোগীর নমুনার পরীক্ষার সনদে চিকিৎসকের জাল স্বাক্ষর ব্যবহার এবং পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত উপকরণের মেয়াদ ও মান নেই। এমনকি ল্যাবটির বৈধ কোন সনদ নেই।
তিনি বলেন, হাতেনাতে ধরা পড়ার পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দুই মালিক ও দুই কর্মচারীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান বলেন, বরিশালের ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলো বিভিন্ন অনিয়ম করছে। সেখানে ডাক্তার কিংবা টেকনোজলিষ্ট নেই। পরীক্ষার সনদে চিকিৎসকের জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে রিপোর্ট দেয়া হচ্ছে। পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত উপকরণের মেয়াদ ও মান নেই। এমনকি ল্যাবটির বৈধ কোন সনদ নেই। তেমনি একটি ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে ৪ জনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে