ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

পরিবারের একমাত্র ভরসা ছিলেন বৈরুতে নিহত মিজানুর

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২০, ০১:৫৯

পরিবারের একমাত্র ভরসা ছিলেন বৈরুতে নিহত মিজানুর

চার সন্তান রেখে বাবা আরেক বিয়ে করে পরিবার ছাড়েন। মা কাজ করে উপার্জন শুরু করেন। কষ্টের জমানো টাকা দিয়ে বড় ছেলেকে পাঠান বিদেশ। এরপর থেকে বড় ছেলের উপরই সংসারের দায়িত্ব শুরু। তিন বছর আগে লেবাননে যাওয়া এই মিজানুর রহমান বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন লাশ।

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে একজন তিনি। মাত্র ২৭ বছর বয়স ছিল তার। সেখানে একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন তিনি।

বৈরুতে বন্দরের কাছে বিস্ফোরণে নিহত আরও একজন হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেহেদি হাসান। অন্য আর একজন সম্পর্কে এখনো কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

মিজানুরের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নে। চার ভাইবোনের মধ্যে বড় তিনি।

পরিবারের নির্ভরতা বড় ভাইয়ের মৃত্যুতে বিহ্বল ছোট ভাই আব্দুর রহমান। তিনি বলছিলেন, 'ঘরে একটাই বড় ভাই। সে ছিল আমার অভিভাবকের মতো। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে পরিবার ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আর খোঁজ খবর নিত না। বাবা চলে গেলে ঘরে অভিভাবক থাকে বড় ভাই। এখন সেও চলে গেল। এতে একটা পরিবারের অবস্থা কেমন হয়?'

বৈরুতে বসবাসরত এক আত্মীয় ফোনে ভাইয়ের মৃত্যুর খবরটি দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের কেউ এখনো তাদের সাথে যোগাযোগ করেনি।

ভাইয়ের মৃত্যুতে দিশেহারা আব্দুর রহমান বলেন, 'আমার মায়ের এখন দুটো কিডনিই অকেজো হয়ে গেছে। চলতে পারেন না। চোখেও দেখতে পান না। অসুস্থ এই মায়ের জন্য ঔষধ, পরিবারের খরচ, আমার ছোট ভাইয়ের পড়ালেখার খরচ সব বড়ভাই চালাত। তার আড়াই বছর বয়সী মেয়েটার এখন কি হবে?'

বৈরুতে বিস্ফোরণের বিষয়ে দেশটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল মামুন বলছিলেন, 'গতকাল অফিস শেষ করে যখন বাড়ি ফিরেছি, ঠিক তখনই হঠাৎ ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠলো চারপাশ। আমরা সবাই দৌড়ে নিচে নামলাম। আমার বাসা ঘটনাস্থল থেকে ৬ কিলোমিটার মতো দুরে অবস্থিত। আমার বাসাতেও জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে।'

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত