‘কৌশল বদলে চলছে বিচার বহির্ভূত হত্যা’
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২০, ২২:৪০
সমালোচনার মুখে কৌশল বদলে বিচার বহির্ভূত হত্যা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন মানবাধিকারকর্মীরা। সোমবার হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) আয়োজিত ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করা হয়।
এসময় বহির্ভূত হত্যায় জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিচার করে শাস্তি দিতে একটি জাতীয় কমিশন গঠনের দাবি তুলেছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন বলেন, গুম এবং এক্সট্রা জুডিসিয়াল কিলিং, এটা আমাদের একটা লিগ্যাসি। অর্থাৎ আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। ২০০৪ সাল থেকে লক্ষ্য করলাম মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে….. নতুনভাবে ডিজিটাল সিকিউরিটি যে ল হল, সেটা দ্বিতীয় ইনোভেটিভ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্ট্র্যাটেজিক শিফট দেখছি। গুম, এক্সট্রা জুডিসিয়াল কিলিং, এনকাউন্টার, সেলফ ডিফেন্স …..এসব শব্দ শুনতে শুনতে এলাম। এসবের একটার বিরুদ্ধের যদি সমালোচনা আসে, তখন অত্যাচারটাকে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আরেকটা নতুন কৌশল অবলম্বন করছে সরকার।
জাকির হোসেন বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের আমলে গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিক সমালোচনার প্রেক্ষিতে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা এ ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স দেখাবে। ২০০৯ সালে জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের দ্য ইউনিভার্সেল পিরিয়ডিক রিভিউ উপস্থাপনের সময় তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয়নি।
মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে গত তিন দিন আগে নিউজ দেখলাম, কত কোটি টাকা মিয়ানমারে পাচার হচ্ছে। পুলিশের অভিযান শুরু হল। তারা শুরু থেকেই মানুষ মারছে। কিন্তু মাদকের আমদানি কোনোভাবেই কমছে না। রিলেশনটা কী? অ্যাকাউন্টেবিলিটিটা হারিয়ে যাচ্ছে।
মানবাধিকার খুশি কবির সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের মামলার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, বক্তব্য রাখার স্বাধীনতা তো সংবিধান আর তথ্য অধিকার আইন দুই আমাদের দিয়েছে। সেই অধিকার বলেই তো আমাদের সবকিছু জানার অধিকার আছে। আমরা জানতে চাই। এখন অবস্থা এমন হয়েছে যে, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনটি যারা আইন প্রণেতা, বা আইনের প্রয়োগ যারা করছেন তাদের জন্য এটা প্রযোজ্য না। এটা শুধু নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য।
তিনি বলেন, অনেকে অনেক কথা বলতে চান। কিন্তু তারা ভাবেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো পোস্টে লাইক দিলে আমাদের কোনো ক্ষতি হবে কি না।
এভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক চর্চার জন্যই মত প্রকাশের স্বাধীনতা খুব দরকার। এসময় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম শিশু সংশোধনাগারগুলোর সংস্কার দাবি করেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম