কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবনসহ স্বামী-স্ত্রীর দণ্ড
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৫০
কুষ্টিয়া সদর থানার চা দোকানী মিঠুন হোসেন হত্যা মামলায় ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অপর দুই আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অরূপ কুমার গোস্বামী জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ঢাকা ঝালুপাড়া এলাকার মৃত মওলা মণ্ডলের ছেলে মো. শিমুল হোসেন (৩০)।
১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শিমুল হোসেনের স্ত্রী সাথী বেগম (২৬), একই এলাকার খয়বার আলী প্রামাণিকের ছেলে সবুজ হোসেন (২৪)।
এ মামলা থেকে আদালত মামলায় অভিযুক্ত লিটন হোসেন, মনিরুল ইসলাম ও খয়বার আলী প্রামাণিককে বেকসুর খালাস দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট রাত ৯টায় কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ঢাকা ঝালুপাড়া এলাকায় চায়ের দোকান থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলো মিঠুন হোসেন। এসময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ভাতিজা শিমুল পিছন দিক থেকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এতে মিঠুনের নাড়িভুঁড়ি বেড়িয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত মিঠুনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরদিন ১৪ আগস্ট নিহত মিঠুনের স্ত্রী রিনা বেগম ৬ জনের নামোল্লেখসহ কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) এডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, শুনানি শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় পেনাল কোড দ.বি ৩০৪ ধারায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত নিহত মিঠুনের ভাতিজা শিমুল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ১ বছর সাজার আদেশ দেন এবং পেনাল কোড দ.বি ৩০৪/৩৪ ধারায় সাথী বেগম ও সবুজ হোসেনকে ১০ বছরে করে কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সাজার আদেশ দেন। সেই সাথে মামলার বাকি তিন আসামিকে খালাস দেন বিজ্ঞ আদালত।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে