ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

ছোট বোনকে ধর্ষণে বাধা দেয়ায় বড় বোনকে ছুরিকাঘাত

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২০, ১৮:৫৪

ছোট বোনকে ধর্ষণে বাধা দেয়ায় বড় বোনকে ছুরিকাঘাত
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছোট বোনকে ধর্ষণে বাধা দেয়ায় গার্মেন্টসকর্মী বড় বোনকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ছুরিকাঘাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতে ফতুল্লার শিহাচর শাহজাহান রোলিং মিল এলাকায় মনির হোসেনের ভাড়া বাসায় ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করায় সোমবার রাতেও কয়েক দফা হামলা চালায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা।

ছুরিকাঘাতে আহত গার্মেন্টসকর্মী লাবনীকে (২৫) ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। একদিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন লাবনী। তার পেটে কয়েকটি ছুরিকাঘাত করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হারেজ মিয়া ও তার স্ত্রী সেলিনা বেগম ৩ মেয়ে ২ ছেলে নিয়ে মনির মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তাদের মধ্যে বড় মেয়ে আহত লাবনী ও খলিল নামে আরেক ছেলের উপার্জনে তাদের ৭ জনের সংসার চলে। এই পরিবারের ছোট মেয়ে লাকীকে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার জীবন (১৬) ও লাদেন (১৭) নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। প্রায় সময় কুপ্রস্তাব দিতো তারা।

এ নিয়ে এলাকাবাসী জানতে পেরে ফুসলেও ভয়ে কিশোর অপরাধীদের কিছু বলতে পারতেন না। কারণ তাদের প্রত্যেকের হাতে দেশি-বিদেশি অস্ত্র থাকে। সাধারণ বিষয়ে তারা অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দেয়।

আহত লাবনী আক্তার দেশ জানান, রোববার রাত সাড়ে ৯টার সময় জীবন ও লাদেনসহ প্রায় ১০/১৫ জন কিশোর বয়সের ছেলে আমাদের বাসায় আসে। তাদের কারও বাবার নাম জানি না। তবে আমাদের এলাকায় তারা কিশোর অপরাধী হিসেবে পরিচিত।

তারা যখন আমাদের বাসায় আসে তখন আমি গার্মেন্টস থেকে বাসায় এসেছি। কিশোররা এসেই আমাদের ঘরে প্রবেশ করে প্রথমে জীবন আমার বোন লাকিকে জড়িয়ে ধরে খাটে ফেলে দেয়।

তখন আমি চিৎকার করে জীবনকে ধাক্কা দিয়ে লাকিকে জড়িয়ে ধরি। এ সময় তারা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর লাকিকে টেনে হিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন আবারও আমি তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালে জীবন আমার পেটে কয়েকটি ছুরিকাঘাত করে দলবল নিয়ে চলে যায়।

এ সময় আমার মা বোন ও ছোট ভাইসহ আশপাশের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।

এরপর ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক আক্রান্ত স্থানে ১৮টি সেলাই করে একদিন ভর্তি রাখেন।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় কিশোরদের ভয়ে থানায় গিয়ে তথ্য গোপন করে অভিযোগ না করে একটি জিডি করেছি। জিডির বিষয়টিও জীবন ও তার লোকজন জানতে পেরে সোমবার রাতে কয়েক দফা আমাদের বাড়িতে হামলা করে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেন বলেন, দুপক্ষের মাঝে আগে থেকেই গন্ডগোল আছে। ধর্ষণের চেষ্টার কোন অভিযোগ পাইনি। তবে আহতের ঘটনাটি সত্য। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত