ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

আধুনিকতার ছোঁয়ায় ধামরাই পৌরসভা

  ধামরাই প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২০, ১৫:৫০

আধুনিকতার ছোঁয়ায় ধামরাই পৌরসভা

এটা কোন জন্মদিন বা বিয়ের অনুষ্ঠানে লাল নীল বাতি জ্বালিয়ে অনুষ্ঠান চলতেছে তা নয়। নয় কোন জমকালো আয়োজন করা বৈশাখী মেলা। না চলছে কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এটা হলো ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার ধামরাই পৌরসভা। দেখলে মনে হয় ইউরোপ আমেরিকার মতো উন্নত কোনো দেশ।

দৃশ্য দেখলে মন জুরিয়ে যায়। অনেকে সন্ধ্যার পর ধামরাই বাজারে কোনো কারণ ছাড়াই বেড়াতে আসে। লাল নীল হলুদ বাতিতে রাস্তা যেন জ্বলজ্বল করছে। ঘুরতেও খুব ভালো লাগে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধামরাই পৌরসভার যাত্রাবাড়ী থেকে শরীফবাগ এলাকার বেইলি সেতু পর্যন্ত প্রায় দের কিলোমিটার রাস্তা ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে তৈরি করে দিয়েছেন পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবির। জনগণের চলাচলের ভোগান্তি দেখে একদিনেই রাস্তার কাজ শেষ করেন।

শুধু রাস্তা তৈরি করেই শেষ নয়। রাস্তার পাশে লাল, নীল, হলুদ রঙের ৫৪টি লাইট লাগিয়ে দিয়েছেন। নেই রাস্তায় কোনো যানজট। রাস্তার পাশে ফুটপাত তুলে দেয়া হয়েছে। রাস্তার মধ্যে নেই কোনো চা, পান, বিড়ির দোকান। নেই সবজি হকারের জামা কাপড়, জুতা বিক্রির দোকান। তবে নাগরিক সুবিধা প্রদানের জন্য সবজির দোকান পরিকল্পনা মাফিক করা হবে।

পৌর মেয়রের এমন কাজ শুধু এই দের কিলোমিটারের মধ্যেই নয়। ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ড থেকে বউ বাজার, পৌরসভার জ্যোতির্বিদ্যা স্কুল থেকে বড় চন্দ্রাইল, থানা রোডের উত্তর পাশ হতে ধামরাই সরকারি কলেজ, থানা, হার্ডিঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের সম্মুখের রাস্তায়ও লাগিয়েছে বাহারি রঙের ষ্ট্রীট লাইট। এছাড়াও ডাক্তার অজিত কুমার বসাক এর বাড়ির সামনে থেকে ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত, ষ্ট্রীট লাইট লাগিয়েছে ইসলামপুর পঞ্চাশ এলাকায়ও দেখলে মনে উন্নত কোনো দেশে চলে এসেছি। সন্ধ্যার পরই জ্বলতে থাকে এই বাতি।

এছাড়াও ধামরাই পৌরসভায় রয়েছে আধুনিক ড্রেইনের ব্যবস্থা। রয়েছে পাকা রাস্তা। এ ধরনের উন্নয়ন মূলক কাজ চলতেই থাকবে।

পৌরবাসিন্দা মাহমুদ ইকবাল বলেন, পৌর মেয়র অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন একদিনে দের কিলোমিটার রাস্তা নতুন করে তৈরি করে। আবার রাস্তার পাশ দিয়ে ষ্ট্রীট লাইটেরও ব্যবস্থা করেছেন। এখন ধামরাই বাজার দেখলে মনে হয় ইউরোপ কান্ট্রির কোনো দেশ। আমরা মেয়রের কাছ থেকে আরো উন্নয়নের চমক দেখতে চাই। তবে পৌরবাসী তার কাজের জন্য সন্তুষ্ট।

অনেকেই সারাদিন কর্মব্যস্ততার পর সন্ধ্যার দিকে বাজার বা রাস্তা দিয়ে বেড়াতে বের হয় একটু সজীব হওয়ার জন্য।

সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমরা সারাদিন কাজকর্মে ব্যস্ত থাকি। দিনে সময় না পাওয়ার কারণে রাতে বের হই একটু নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য। আগে রাস্তার পাশ দিয়ে হাটতে কষ্ট হতো ফুটপাতের জন্য। এখন আর সেই ঝামেলা নেই। বাহারি রঙের বাতি আর পরিষ্কার রাস্তা দেখলে মনে ঢাকার সেই গুলশান বনানীতে এসেছি।

তবে ধামরাই পৌরসভা একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। এখানে মানুষ সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা ভোগ করছে বলে জানা যায়। নেই ময়লা আবর্জনা ফেলার চিন্তা। সকাল হলেই পৌরসভায় নিয়োজিত লোকজন এসে বাড়ির সামনে থেকে সকল ময়লা আবর্জনা নিয়ে যায়। পূর্বে রাস্তার পাশে দিনের পর দিন এমনকি মাস ব্যাপী রাস্তার পাশে ডাস্টবিনে ময়লা পড়ে থাকতো। তার পাশ দিয়ে সাধারণ মানুষ, স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী মুখ চেপে রাস্তা পার হতো। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে পুরো পৌরসভায় নিয়োজিত কর্মীদের দ্বারা ঝাড়ু দেয়া হয়। রাস্তায় কোনো ছেড়া কাগজের স্তূপ, ময়লা নেই।

একাধিক বাসিন্দা বলেন, আগে আমাদের বাড়ির গেইট এ দিনের পর দিন ময়লা জমে থাকতো। অনেক দূরে পৌরসভার ডাস্টবিন ছিল রাস্তার পাশে। সেখানে ফেলে আসা হতো। বর্তমান মেয়র আলহাজ গোলাম কবির আসার পর আমাদের এই সব সমস্যা আর নেই। সকল ধরনের পৌর শহরের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছি।

এ ব্যাপারে পৌরসভার মেয়র আলহাজ গোলাম কবির মোল্লা বলেন, আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যদি পাশ করে মেয়র হতে পারি পৌরসভাকে আধুনিক পৌরসভায় রূপান্তরিত করবো। রাস্তায় কোনো ময়লার ডাস্টবিন থাকবে না। এখন প্রতিদিন পৌরসভায় নিয়োজিত কর্মীরা ময়লা বাসা বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। প্রতিদিন পুরো পৌরসভার রাস্তা ঝাড় দেয়া হয়। রাস্তার পাশ দিয়ে লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। করা হয়েছে আধুনিক ড্রেইনের ব্যবস্থা। নেই কোন যানজট । প্রতিটি রাস্তার পাশ দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের জন্য আলাদা ফুটপাত করে দেয়া হবে।পৌরবাসি আধুনিক ও প্রথম শ্রেণির পৌরসভার সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে এবং করবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত