আটকের পর ছাড়া পেল ১৫ জন

জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম এলাকায় ভাস্কর্যবিরোধী মিছিল থেকে আটক ১৫ জনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করে সম্মিলিত ইসলামী দলগুলো।

পুলিশের পক্ষ থেকে নিষেধ করার পরও বিক্ষোভকারীরা জমায়েত হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশ ১৫ জনকে আটক করে।

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৫

মতিঝিল জোনের এডিসি এনামুল হক মিঠু বলেন, সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে আমরা আগে থেকে অ্যালার্ট ছিলাম। হঠাৎ করে একদল হুজুর বায়তুল মোকাররম থেকে শাহবাগের দিকে যাচ্ছিল। আমরা পল্টনে ব্যরিকেড দিয়েছিলাম। তারা সেটা ভেঙে ফেলে। এরপর আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, তাদের সামনে কোনও ব্যানার ছিল না। হঠাৎ করেই উত্তেজিত হয়ে মিছিল শুরু করে। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করেছিলেন তারা।

সম্মিলিত ইসলামি দলসমূহের প্রচার সচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম জানান, ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের প্রতিবাদে ৪ ডিসেম্বর জুমার পর দেশব্যাপী গণবিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বায়তুল মোকাররমে কর্মসূচি পালনের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু অনুমতি পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার পরিস্থিতি মোকাবেলায় জুমার নামাজের আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা তল্লাশি চালায় পুলিশ।

পরে জুমার নামাজের পর সাধারন মুসল্লিরা উত্তর গেটের সিঁড়িতে জড়ো হতে থাকে, তাদের সঙ্গে কয়েকটি ইসলামি দলের সদস্যরা যোগ দেন। এক পর্যায়ে বেশ কিছু লোক রাস্তায় নেমে মিছিল শুরু করলে পুলিশ ধাওয়া করলে তারা ফের মসজিদের ভেতরে চলে যায়। পরবর্তীতে একত্রিত হয়ে ফের মিছিল শুরু করে তারা। পুলিশ বাধা দিলে মিছিলকারীরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে বেশ কয়েকজন আহতও হন।

আরও পড়ুন- পুলিশের লাঠিচার্জে পণ্ড ভাস্কর্যবিরোধী মিছিল

বাংলাদেশ জার্নাল/আর