ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

খুলনা হবে দ্বিতীয় বাণিজ্যিক রাজধানী

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:১৮  
আপডেট :
 ১২ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:৩২

খুলনা হবে দ্বিতীয় বাণিজ্যিক রাজধানী
ফাইল ছবি

খুলনা হতে পারে দ্বিতীয় বাণিজ্যিক রাজধানী। কালের আবর্তে একে একে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুলনা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে গেছে। কিন্তু পদ্মা সেতুর কারণে এই অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়বে। কর্মসংস্থানের গতি বাড়ার পাশাপাশি আয়ের বৈষম্যও কমে যাবে। আবার খুলনায় ফিরতে শুরু করবে মানুষ।

সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রচারিত সংবাদে খুলনা শিল্প ও বণিক সমিতির (কেসিসিআই) সভাপতি কাজী আমিনুল হক এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি ওই জাতীয় দৈনিকে তার লেখায় উল্লেখ করেন- পদ্মা সেতু হলে সবচেয়ে বড় সুবিধা পাবে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। এখন সড়কপথে খুলনা থেকে ঢাকায় যেতে সময় লাগে প্রায় আট থেকে ১২ ঘণ্টা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকলে সময়টা আরও বাড়ে। ঘাটে ২৪ ঘণ্টা আটকে থাকার ঘটনাও রয়েছে। তবে পদ্মা সেতুতে চলাচল শুরু হলে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হবে। তখন সকালে খুলনা থেকে বের হয়ে ঢাকায় গিয়ে কাজ সেরে বিকেলেই খুলনায় ফেরা যাবে।

তিনি লেখেন, দক্ষিণাঞ্চলে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সময় ও দূরত্বকে অন্যতম বাধা মনে করেন। পদ্মা সেতু হলে ওই বাধা অনেকাংশে কেটে যাবে। মোংলা বন্দর থাকায় এ পাশ দিয়ে আমদানি-রপ্তানিও সহজে করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে একটি বাণিজ্যিক অঞ্চল গড়ে ওঠার জন্য যে ধরনের পরিবেশ দরকার, তা পাওয়া যাবে এ অঞ্চলে। নতুন নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি হবে।

মোংলার গতিশীলতা বাড়বে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা অল্প সময়ের মধ্যে পণ্য পরিবহন করে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি ও আমদানি করতে উৎসাহিত হবেন। পায়রা বন্দরের গুরুত্বও বাড়বে। প্রয়োজনীয় আধুনিকায়ন করা হলে পদ্মা সেতুর ব্যবহারে ওই বন্দরও এক বৃহত্তম বন্দরে রূপান্তরিত হবে। এমনকি ভুটান, পূর্ব নেপাল ও ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশের জন্য পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারবে।

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে এ অঞ্চলের যোগাযোগ সহজ হলে পিছিয়ে পড়া এই অঞ্চল ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও মনোযোগ কাড়বে। এসব জেলায় গড়ে উঠবে নতুন নতুন শিল্পকারখানা। এ সেতু দিয়ে বাংলাদেশ যুক্ত হতে পারবে এশিয়ান হাইওয়েতে। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতির চাকা ঘোরার পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থান। বিশেষ করে মোংলা বন্দরে পদ্মা সেতুর সুফল এখনই পাওয়া যাচ্ছে।

বেশ কয়েকটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরি ইতিমধ্যে চালু হয়ে গেছে। গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী নানা ধরনের শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে। ২০৫ একর জমি নিয়ে এই অঞ্চলে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন হচ্ছে। এই অঞ্চলে ইপিজেড আবারও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। সবই হচ্ছে পদ্মা সেতুকে সামনে রেখে। রেলের কাজও চলছে পুরোদমে। এর সঙ্গে চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ এবং পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হলে দক্ষিণাঞ্চল হবে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক অঞ্চল।

পদ্মা সেতুতে রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকায় দেশের অভ্যন্তরীণ পণ্য পরিবহন, সাধারণ মানুষের যাতায়াতসহ পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গেও রেল যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের এক নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচিত হবে। সাধারণত বিদেশি ক্রেতারা কম সময় নিয়েই আসেন। সড়কপথে অনেক সময় তারা আসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। এ কারণে বিনিয়োগ বাড়াতে পদ্মা সেতুর পাশাপাশি খুলনার খানজাহান আলী বিমানবন্দরটিও চালু করা জরুরি। তা ছাড়া গ্যাস ও জ্বালানির চাহিদা নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বাণিজ্যিক রাজধানীতে পরিণত হতে পারবে খুলনা। সূত্র: প্রথম আলো।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত